বিধানসভায় স্পিকারের রুলিং নিয়ে উত্তেজনা! বাম ও কংগ্রেসকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য তাপস রায়ের
নতুন বছরে বিধানসভার (assembly) দুদিনের অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনও সরগরম। এদিন প্রথমে স্পিকারের রুলিং নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারপর রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী তাপস রায়ের (tapas roy) মন্তব্যে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে অবশ্য স্পিকার জানান, তাপস রায়ের মন্তব্য বিধানসভার কার্য বিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হবে।
রামমন্দির তৈরিতে সাহায্য শুভেন্দুর! পেনশন ভাতা থেকে অর্থ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতাদের হাতে

কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব গ্রহণ করতে বিশেষ অধিবেশন
কেন্দ্রের কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব গ্রহণ করতে বুধবার বিধানসভার দুদিনের অধিবেশন শুরু হয়েছে। বাম ও কংগ্রেসের তরফে যৌথভাবে একটি প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে বুধবার। বিরোধী এই দুই দলের দাবি, তাদের প্রস্তাবকে সামনে রেখে আলোচনা করা হোক। রাজ্যে চালু থাকা কৃষি আইন বাতিল করার দাবিও জানানো হয়েছে, বাম কংগ্রেসের তরফে। অন্যদিকে সরকার পক্ষ কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় প্রস্তাব আনছে।

তাপস রায়ের বিতর্কিত মন্তব্য
এদিন বিধানসভা বসার প্রায় শুরুতেই তাপস রায়ের মন্তব্যে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। তিনি ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিবসে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে সংস্কৃতি মন্ত্রকের অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম স্লোগান প্রসঙ্গ তোলেন। বলে ওটা শুধু মুখ্যমন্ত্রীর অপমান নয়, রাজ্যের মানুষের অপমান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেও প্রধানমন্ত্রী এর কোনও প্রতিবাদ করেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন বাংলার সংস্কৃতিকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে। সুজন চক্রবর্তীর মতো বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা বলেন যেভাবে তাপস রায়ের অবস্থান করেছেন, সেইভাবে কোনও রেজোলিউশন আনা যায় না। সেই সময় স্পিকার তাপস রায়ের বক্তব্যকে ইনফর্মেশন বলে উল্লেখ করেন। এর পরেই চিৎকার তলতে থাকলে তাপস রায় বাম ও কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে নির্লজ্জ ও বেহায়ার মতো বিশেষণ প্রয়োগ করেন। সঙ্গে সঙ্গে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা। তারা বলেন, নেতাজির জন্মদিনে জয় শ্রীরাম স্লোগান যেমন নিন্দনীয়, ঠিক তেমনই তাঁদেরকে অপমানও নিন্দনীয়। যদিও এরপর স্পিকার জানান, তাপস রায়ের বিতর্কিত মন্তব্য কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হবে।

হুইপ ভাঙলেন ৪ বিধায়ক
এদিন বিধানসভায় উপস্থিত থাকতে তৃণমূলের তরফে হুইপ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু চার বিধায়ক হুইপ ভেঙেছেন বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি এদিন বিধানসভায় স্পিকারের রুলিং নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়।

চলতি অধিবেশন অসাংবিধানিক
এদিকে বিধানসভার চলতি অধিবেশনকে অসাংবিধানিক বলে বাম ও কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, নতুন বছরে অধিবেশন একমাত্র রাজ্যপালই ডাকতে পারেন। তার আগে আগের বছরের অধিবেশনকে সমাপ্তি ঘোষণা করতে হয়। সরকারের সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল ও বিরোধীদের অধিকারকে খর্ব করার শামিল বলে অভিযোগ করেছেন বাম ও কংগ্রেস পরিষদীয় দল। বিষয়টি নিয়ে তারা লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। বুধবার শোকপ্রস্তাব নেওয়ার পর অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়।