বিরোধীদের অভিযোগে 'সায়', অনুব্রতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা রাজ্যের মন্ত্রীর! অবস্থান নিয়ে জল্পনা
দিন যত নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় শাসক শিবিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে। আগে কাজের সমালোচনা করলেও, এবারই প্রথমবার রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury) জানি
দিন যত নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় শাসক শিবিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে। আগে কাজের সমালোচনা করলেও, এবারই প্রথমবার রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury) জানিয়েছেন, মঙ্গলকোটে তিনি অনুব্রত মণ্ডলের (anubrata mondal)-এর অনুগত হয়ে কাজ করতে পারবেন না। যদিও এব্যাপারে অনুব্রত মণ্ডলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সব আসনকেই বাড়তি গুরুত্ব কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের! তৃণমূল ভাড়াটে সৈন্য নিয়ে লড়ছে, কটাক্ষ বিজেপির
আগেও ফোঁস করেছিলেন সিদ্দিকুল্লা
আগেও অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ফোঁস করতে দেখা গিয়েছে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে। রামপুরহাটে বুথ কমিটির সভায় পাশে বসা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপদার্থ বলেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। যা নিয়ে সিদ্দিকুল্লা বলেছিলেন, শিক্ষিত মানুষকে অপমান করছেন অনুব্রত । তিনি অঙ্ক বোঝেন না বলেও মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।
পরিবর্তন আসছে, সতর্ক করেছেন সিদ্দিকুল্লা
অনুব্রত মণ্ডলের সমালোচনা করে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে বলতে শোনা গিয়েছে, জমানা বদলাচ্ছে, পরিবর্তন আসছে। তিনি বলেছিলেন, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘুরাই ভোটের ফলাফল নির্ধারণ করবেন। তিনি বলেছিলেন, বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল পুরো মাত্রায় পেতে গেলে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে নিতে হবে।
মঙ্গলকোটে কাজের পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে
এদিন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে তিনি বলেন, দল বললে কাজ করতেই হবে। তবে তিনি অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে কাজ করতে পারবেন না। তিনি বলেছেন, অনুব্রত মণ্ডলের মেজাজ তিনি জানেন। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, উনি (অনুব্রত) বড় খেলোয়াড়। তবে তিনি (সিদ্দিকুল্লা) সেই পর্যায়ের খেলোয়াড় নন। মারামারি করতে চান না। কেউ করুক তাও তিনি চান না। তিনি হাত পোড়াতে মঙ্গলকোটে যেতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেন।
বিরোধীদের অভিযোগে সিলমোহর
এদিন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, গত নির্বাচনে তারা কী করেছে সবাই জানে, সংবাদ মাধ্যম জানে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা প্রয়োজন, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা মঙ্গলকোট বিধানসভা কেন্দ্রে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। এদিন মন্ত্রী সেই অভিযোগ সম্পর্কেই বলতে চাইলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
অনুগামীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ
এদিন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এলাকায় বেআইনি বালি খাদান নিয়ে সরব হওয়ার পাশাপাশি অনুগামীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর আরও অভিযোগ এলাকায় দলে ভাঙনের পিছনেও হাত রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। এলাকায় বিজেপিতে যোগ দেওয়া অনেকেই বলছেন, তাঁরা বিজেপির না হলেও নিরুপায় হয়েই গেরুয়া শিবিরে গিয়েছেন।