বিজেপি ডাস্টবিন থেকে নেতা কুড়ায়! সবংয়ে মুকুল-দিলীপকে নিশানা শুভেন্দুর
একদল শুদ্ধিকরণের লক্ষ্যে দল থেকে তাড়াচ্ছে, আর বিজেপি সেইসব দুর্নীতিবাজদের দলে জায়গা দিচ্ছে। এখন দেখছি যা ফেলে দেওয়া হচ্ছে, ডাস্টবিন থেকে তা-ই কুড়িয়ে নিচ্ছে বিজেপি। সবংয়ে বললেন শুভেন্দু অধিকারী।
'একদল শুদ্ধিকরণের লক্ষ্যে দল থেকে তাড়াচ্ছে, আর বিজেপি সেইসব দুর্নীতিবাজদের দলে জায়গা দিচ্ছে। ক-দিন আগে আমরা পাঁশকুড়ায় একজনকে তাড়ালাম, অমনি বিজেপি ছুটে গিয়ে তাঁকে দলে নিয়ে নিল। একইরকম ঘটছে অন্য দলের ক্ষেত্রেও। সিপিএমও দুর্নীতিতে যুক্ত লক্ষ্ণণ শেঠকে বহিষ্কার করেছিল, তাঁকেও দলে স্থান দিয়েছে দিলীপবাবুরা। এখন দেখছি যা ফেলে দেওয়া হচ্ছে, ডাস্টবিন থেকে তা-ই কুড়িয়ে নিচ্ছে বিজেপি।'
[আরও পড়ুন:মমতা সংখ্যালঘু উন্নয়নে ব্যর্থ বলেই এত ক্রিমিনাল! আফরাজুল-প্রশ্নে নিশানা দিলীপের]
পশ্চিম
মেদিনীপুরের
সভা
থেকে
বিজেপিকে
চাঁছাছোলা
ভাষায়
বিঁধলেন
পরিবহণমন্ত্রী
শুভেন্দু
অধিকারী।
শনিবার
সবংয়ের
কর্মিসভায়
তৃণমূলের
বহিষ্কৃত
নেতা
পাঁশকুড়া
পুরসভার
প্রাক্তন
চেয়ারম্যান
আনিসুর
রহমান
বিজেপিতে
যোগদান
করেন।
মুকুল
রায়ের
ঘনিষ্ঠ
এই
নেতার
বিজেপিতে
যোগদানকে
কটাক্ষ
করেন
শুভেন্দু
অধিকারী।
আনিসুরদের
ডাস্টবিনে
ফেলে
দেওয়া
বাতিল
নেতা
বলে
গণ্য
করেন
তিনি।
শুভেন্দুবাবু
বলেন,
'বিজেপিকে
নিয়ে
আশঙ্কার
কিছু
নেই।
ওঁদের
কাজ-কারবারই
হল
বাতিল
লোকেদের
নিয়ে
এসে
ভিড়
জমানো।
আদতে
কিছুই
করতে
পারবে
না
ওঁরা।
সবংয়ের
ফল
বেরোলেই
বুঝতে
পারবেন
ওঁদের
স্থান
কোথায়।'
এদিন
সবং
বিধানসভা
কেন্দ্রের
তৃণমূল
কংগ্রেস
প্রার্থী
মানস-জায়া
গীতারানি
ভুঁইয়ার
সমর্থনে
সভা
করেন।
এদিন
আগাগোড়া
বিজেপিকে
আক্রমণ
করেন
শুভেন্দু।
তিনি
বলেন,
'বিজেপির
একটাই
অ্যাজেন্ডা
মানুষের
মধ্যে
বিভাজন।
ওরা
মানুষের
মধ্যে
বিভাজন
আনতে
চায়
ধর্ম
ও
সম্প্রদায়ের
ভিত্তিতে।
সকলের
কাছে
অনুরোধ
ধর্ম
ও
সম্প্রদায়
নিয়ে
হানাহানির
মধ্যে
যাবেন
না।
ওঁদের
প্ররোচনায়
পা
দেবেন
না।
আমাদের
একটাই
অ্যাজেন্ডা
উন্নয়ন।
সেই
উন্নয়নকে
পাথেয়
করেই
আমরা
লড়াই
চালাব।
আমরা
তাই
উন্নয়নের
কথা
বলব।'
শুভেন্দুবাবুর
কথায়,
'বিগত
নির্বাচনের
সমস্ত
রেকর্ড
ভেঙে
দেবেন
এবার
আমাদের
প্রার্থী।
বিগত নির্বাচনগুলিতে মানস ভুঁইয়া যত ভোটে জিতেছিলেন এবার তাঁর দ্বিগুণ ভোট জিতে রেকর্ড করবেন গীতারানি ভুঁইয়া। আমাদের চ্যালেঞ্জ গীতাদেবীকে অন্তত ৮০ থেকে ১ লাখ ভোটে জিতিয়ে আনা।' এদিনের সভায় শুভেন্দুবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা এই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, বিধায়ক নির্মল ঘোষ প্রমুখ।