‘হাতজোড় করছি, কেউ আমাকে কাকা বলে ডাকবেন না’, তৃণমূলে মহা‘যুদ্ধে’র আবহ
অদ্ভুত আবদার! কেউ আমাকে কাকা বলে ডাকবেন না! এই আবদার আবার যাঁর তাঁর নয়, আবদার স্বয়ং মন্ত্রিকাকার।
অদ্ভুত আবদার! কেউ আমাকে কাকা বলে ডাকবেন না! এই আবদার আবার যাঁর তাঁর নয়, আবদার স্বয়ং মন্ত্রিকাকার। তৃণমূলের ডাকাবুকো মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ স্বয়ং এই আবদার করে বসলেন সাংবাদিক বৈঠকের মাঝেই। তিনি বললেন জ্যাঠা, মামা, ভাই, দাদা- যা খুশি বলে আমায় ডাকুন। কিন্তু অনেক হয়েছে, কাকা আর নয়।
কিন্তু হঠাৎ কেন তাঁর কাকা নামে এত বৈরাগ্য? না, তিনি কোনও উত্তর দেননি এই প্রশ্নের। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মন্ত্রীর এই ভাষ্যের পিছনে রয়েছেন কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতীম রায়। একদা তাঁর অনুগত ছিলেন পার্থপ্রতীম। কাকা বলতে ছিলেন অজ্ঞান। এখন তাঁর সঙ্গেই চরম সংঘাত। সম্পর্ক অহি-নকুল।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, কাকা বলে ডাকবেন না বলে পার্থপ্রতীম রায়কেই বার্তা দিলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তবে এই অনুরোধ ভিন্ন তিনি কিছুই বলেননি এ প্রসঙ্গে। আর সাংসদ পার্থপ্রতীমবাবুও এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
রবীন্দ্রনাথ ঘোষের হাত ধরেই রাজনীতির অলিন্দে প্রবেশ করেছিলে পার্থপ্রতীম রায়। এখন তিনি লোকসভার তৃণমূল সাংসদ। মন্ত্রীকে কাকা বলে ডাকতেন। কিন্তু এখন মুখ দেখাদেখি প্রায় নেই উভয়ের। বিরোধ শুরু হয়েছিল জেলা যুব সংগঠনের সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে। মন্ত্রীর ছেলেকে টপকে পার্থপ্রতীম হয়েছিলেন যুব সভাপতি। এখন সেই যুব সংগঠনের রোষানলে মন্ত্রী।
[আরও পড়ুন:'লাল'-গড়ে সিপিএম-এ বড় ভাঙন! বিজেপির পতাকা হাতে নিলেন পোড় খাওয়া নেত্রী]
এরপর পঞ্চায়েতে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে তীব্র মতবিরোধ হয় উভয়ের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রীকে ধমক দিয়ে বলেন, সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। দলের মধ্যে কোনও বিভাজন মানব না। কিন্তু বিভাজন চলছেই তৃণমূলে। কোচবিহারে নিত্য লেগে আছে গন্ডগোল। তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের লড়াই তুমুল।
[আরও পড়ুন: সত্যের দুরকম সংস্করণ কি সম্ভব! রাফালে বিতর্কে রাহুল-ওলাঁদেকে এক যোগে বিঁধলেন জেটলি]
দেওয়ানহাটে মন্ত্রীকে হেনস্থা করা হয়। তারপরই ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রবীন্দ্রনাথবাবু। এবার কাকা নামেই বৈরাগ্য প্রদর্শন করে বসলেন তিনি। ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠল কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী-কোন্দল। এখন প্রশ্ন, লোকসভার মহাযুদ্ধের আগে এই কোন্দল দলের বিপদ ডেকে আনবে না তো!
[আরও পড়ুন:কুকুরের সঙ্গে তুলনা পুলিশকে, তপ্ত ইসলামপুরে উত্তেজক ভাষণ বিজেপি জেলা সভাপতির]