রোষের আগুনে ফুঁসছে গোটা গ্রাম, বিধায়ক-মন্ত্রীরা যেতেই নতুন করে ছড়াল আঁচ
বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার। চারদিন কেটে গিয়েছে। রোষের আগুন নেভেনি ইসলামপুরে। থমথমে ইসলামপুরের দাঁড়িভিট। ফুঁসছে গোটা গ্রাম।
বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার। চারদিন কেটে গিয়েছে। রোষের আগুন নেভেনি ইসলামপুরে। থমথমে ইসলামপুরের দাঁড়িভিট। ফুঁসছে গোটা গ্রাম। তবে এরই মধ্যে ঘটনার চারদিনের মাথায় নিহতদের বাড়িতে গেলেন তৃণমূলের এক বিধায়ক ও এক মন্ত্রী। বিধায়ক-মন্ত্রীর সামনে ক্ষোভ উগরে দেন নিহতদের পরিবারের লোকজন। ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসীরা।
শনিবারই গিয়েছিলেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী-অশোক ভট্টাচার্যরা। এদিন সকালেই ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক কানাইলাল আগরওয়াল ও পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি। প্রথমে যান তাপস বর্মনের বাড়িতে। তারপর যান নিহত রাজেশ সরকারের বাড়িতে। তাঁরা আশ্বাস দেন এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত হবে।
মন্ত্রী-বিধায়ককে দেখে দুই ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ উগরে দেন পুলিশের বিরুদ্ধে। জড়ো হয়ে যান প্রতিবেশীরাও। সবার একটাই প্রশ্ন পুলিশ কেন গুলি চালাল। এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাই আমরা। তৃণমূলের দুই বিধায়ক-মন্ত্রী পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তাঁরা ন্যায়-বিচার পাবেন বলেও জানান তিনি।
ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, ঘটনার পিছনে যাঁরা আছেন, তাঁজের খুঁজে বের করা হচ্ছে। তাঁরা শাস্তি পাবেন। মানুষ আমাদের উপর আস্থা রাখুন। তবে এদিনও গ্রামে ঢুকতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের উপর ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। যাতে নতুন করে অশান্তির আগুন না ছড়ায় সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।