'নাগরিক অধিকার ছাড়া কিছুই পাবেন না গুরুং', পাল্টা হুঁশিয়ারি গৌতমের
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বার্তার পরও গুরুং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন পাহাড়ে। গুরুংয়ের সেই বার্তার বিরুদ্ধেই পাল্টা হুঁশিয়ারি গৌতম দেবের।
বিমল গুরুংকে পাল্টা দিলেন মন্ত্রী গৌতম দেব। মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের মন্তব্যকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে গৌতম দেব বলেন, 'নাগরিক অধিকার ছাড়া আর কোনও বাড়তি গুরুত্ব বিমল গুরুংকে দেওয়া হবে না। যতই তিনি গোর্খ্যাল্যান্ডের দাবি করুন, তা তিনি পাবেন না। আমরা সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিই মানুষকে। আমাদের কাছে মানুষ কী চান সেটাই বড় ব্যাপার।'
গৌতমবাবু এদিন দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেন, 'গুরুং কখন কী বলেন, তার ঠিক ঠিকানা নেই। এই তিনি আন্দোলন তুলে নেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন তো পরক্ষণেই আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন। তাঁর কোনও কথা আমরা আর গুরুত্ব দিচ্ছি না। পাহাড়ে আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা করবই। তার আর বেশি দেরি নেই।'
তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং পাহাড়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু পাহাড়ে এখনও ধর্মঘট চলছে। মোর্চা অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত থেকে এখনও সরে আসেনি। সেই কারণেই আলোচনা শুরু করা যাচ্ছে না। রাজ্য আলোচনার বসার জন্য উদগ্রীব। গোর্খাল্যান্ড ছাড়া সমস্ত শর্ত মানতে রাজি রাজ্য, এমন বার্তাও আমাদের মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবসের দিন লেবংয়ের জনসভা থেকে গুরুং বলেন, 'যতক্ষণ না গোর্খাল্যান্ড মিলছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলতে থাকবে। আমাদের আন্দোলন বৃথা যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের দাবি মেনে পৃথক রাজ্যের পক্ষেই মত দেবে বলে বিশ্বাস আমাদের রয়েছে। আর সেটাই হবে।' গুরুংয়ের সেই কথারই এদিন জবাব দেন গৌতম দেব।
গৌতমবাবু এদিন পাহাড়বাসীর প্রতি আবেদন জানান, 'পাহাড়ের মানুষের উচিত বনধ উপেক্ষা করে অবিলম্বে বেরিয়ে আসা। পাহাড়ের মানুষ বেরিয়ে এলেই জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। সরকার ও প্রশাসন পাহাড়ের মানুষের দিকেই তাকিয়ে আছেন। পাহাড়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করাই তাঁদের সরকারের এক ও একমাত্র উদ্দেশ্য।'