চুপ মমতা, দার্জিলিং বিস্ফোরণের পিছনে মাওবাদী যোগ দেখছেন মন্ত্রী গৌতম দেব
পাহাড়ে মোর্চার আন্দোলনের পিছনেও মাও-তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার দার্জিলিং বিস্ফোরণ নিয়ে একই সুর গৌতম দেবের কথায়।
দার্জিলিং সুপার মার্কেট বিস্ফোরণের ঘটনায় মাওবাদী যোগ দেখছেন মন্ত্রী গৌতম দেব। পাহাড়ে বিস্ফোরণ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ না খুললেও মন্ত্রী গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীরা সাংবাদিক সম্মেলন করে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন, এই নাশকতার পিছনে মাওবাদী যোগ থাকতে পারে।
[আরও পড়ুন:পাহাড় ফের অগ্নিগর্ভ, বিস্ফোরণের পরেই পুড়ল মোর্চা অফিস, ফরেস্ট বাংলোও]
এর আগে পাহাড়ে মোর্চার আন্দোলনের পিছনেও মাও-তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই সুর গৌতম দেবদের কথায়। তিনি বলেন, পাহাড়ে বিস্ফোরণের ঘটনা বেশ গুরুতর। যে পদ্ধতিতে বিস্ফোরণ হয়েছে তা যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। এই ধরনের নাশকতা মাওবাদীদেরই কাজ। তাই দার্জিলিং বিস্ফোরণের ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হওয়া জরুরি।
গৌতমবাবু ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই নাশকতার সঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার যোগও থাকতে পারে। পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনে নেমে দেওয়ালে পিঠ থেকে গিয়েছে মোর্চার। এমতাবস্থায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাহাড়ে অশান্তি বজায় রাখার একটা পরিকল্পনা কাজ করতে পারে। এদিন তৃণমূলের তরফে জঙ্গলে থেকে হিংসার আশ্রয় না নিয়ে আলোচনায় বসার আর্জি জানানো হয় বিমল গুরুংদের।
দার্জিলিংয়ের সুপার মার্কেট বিস্ফোরণের ঘটনায় আইইডি ব্যবহার হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশও। সেই কারণেই সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত করা হতে পারে। রীতিমতো পরিকল্পনা করেই এই নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা হয়েছে। বিস্ফোরক রাস্তার উপরে রেখে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। রাস্তায় গভীর গর্ত হয়ে যায়। এতটাই তীব্রতা ছিল বিস্ফোরণের দোকানগুলির সাটার ফুটো হয়ে যায়। ভেঙে যায় বাড়ি-ঘর ও দোকানের কাচ।
জেলা পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় এ ধরনের বিস্ফোরণ হয়ে থাকে। নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতেই এ ধরনের কাজ করে মাওবাদীরা। তবে এক্ষেত্রে কারা এই বিস্ফোরণ ঘটাল তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই বিস্ফোরণের পিছনে কী উদ্দেশ্য ছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।