নেতাজির সঙ্গে তুলনা মমতাকে! স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বিজেপিকে কড়া বার্তা মন্ত্রীর
নেতাজির সঙ্গে তুলনা মমতাকে! স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বিজেপিকে কড়া বার্তা মন্ত্রীর
ত্রিপুরা কংগ্রেসের পর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে যা হয়েছিল এখন বাংলায় তারই পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সুভাষচন্দ্রের মতোই লড়াই করতে হয়েছে। আজাদ হিন্দ ফৌজের মতো তৈরি করতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রস। বিজেপির বহিরাগত লাইন নিয়ে এভাবে গর্জে উঠলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
ভিনরাজ্য থেকে মুখ্যমন্ত্রী বা নেতা! নৈব নৈব চ
ব্রাত্য বসুর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দল গড়েছেন, তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করতে পশ্চিম ও উত্তর ভারত থেকে লোক পাঠাতে হচ্ছে। আমাদের বাংলায় ভিনরাজ্য থেকে মুখ্যমন্ত্রী বসানো হবে বা অন্য রাজ্য থেকে নেতা বসানো হবে, তা কখনও মেনে নেওয়া হবে না।
নেতাজির মতো মমতাকেও কোণঠাসা করার চেষ্টা
তিনি বলেন, সুভাষচন্দ্র বসু যেভাবে রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন, একইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোণঠাসা করার চেষ্টা হচ্ছে। ৩৯ সালে নানাভাবে সুভাষকে কোণঠাসা করা হল। ৪৪ সালে তাইহোকুর ঘটনা ঘটল। ভারতের রাজনীতি থেকে চলে যেতে হলব সুভাষকে। ১৯১৫ সালে গান্ধীজি আসার আগে বাঙালির হাতেই ছিল স্বাধীনতা আন্দোলন।
মমতাকে সুভাষের মতোই লড়াই করতে হয়েছিল
তার হুবহু পুনরাবৃত্তি ঘটল ৫০ বছর পরে। মমতাকে চলে যেতে হল না। কারণ মমতাকে ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়নি। তবে মমতাকে সুভাষের মতোই লড়াই করতে হয়েছিল। এখন মমতার তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সেই উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে লোক পাঠাতে হচ্ছে।
নাড়ির টান নেই, বাংলা সংস্কৃতি বোঝে না ওঁরা
বাংলায় যাঁরা আসছেন, তাঁদের সঙ্গে কোনও নাড়ির টান নেই। তাঁরা বাংলা সংস্কৃতি বোঝে না। তাঁরা মনে করে রবীন্দ্রনাথের বাড়ি বোলপুরে। এরা আদিবাসী নেতার গলায় মালা দিয়ে বলে বীরসা মুণ্ডার গলায় মালা দিলাম। কিংবা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার দিন ভাটপাড়ায় উল্লাস করা হয়।
বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে বার্তা
ব্রাত্য বসু প্রশ্ন, তাহলে কি বহিরাগতরা বাংলার নিয়ন্ত্রক হবে? বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, আমাদের জাতির কি এতটাই দুর্দশা এসে গেল যে ভিনরাজ্যের নেতাদের কাছে হাতজোড় করে থাকতে হবে! তিনি এদিন প্রশ্ন তোলেন, উল্লাস কর দত্ত, বারীণ ঘোষপা জেলে পচেছেন বছরের পর বছর, তাঁদের নামে আন্দামানের সেল হয় না, হয় ব্রিটিশদের কাছে পাঁচবার মুচলেকা দেওয়া বিনায়ক দামোদর সাভারকারের নামে।
দিলীপের যে কথার জবাব দিলেন ব্রাত্য বসু
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বহিরাগত তকমা দেয় তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের সর্বভারতীয় নেতারা বারবার আসবেন। নির্বাচনী প্রস্তুতি দেখে রিপোর্ট দেবেন। যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁরা বাংলার লোকেদেরই ভরসা করেন না। ওঁরা তো বিহার থেকে বুদ্ধি ধার করেন। পিকে কে, তাঁর সঙ্গে বাংলার কী সম্পর্ক। এদিন সেই কথারই জবাব দেন ব্রাত্য বসু।
একুশে বাংলার 'কুরুক্ষেত্র'! মমতাকে মাত দিতে ২৩ দফা কৌশল বিজেপির 'চাণক্যে'র