বিজেপিতে গিয়েই ভেঙে গেল ভুল, দলে দলে ফের তৃণমূলে ফিরলেন পঞ্চায়েত সদস্যরা
লোকসভা ভোটের আগে থেকেই রাজ্যে রাজনৈতিক দলবদলের পালা চলছিল। বিজেপি ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছিল।
লোকসভা ভোটের আগে থেকেই রাজ্যে রাজনৈতিক দলবদলের পালা চলছিল। বিজেপি ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছিল। আর সেই হাওয়ায় ভর করেই লোকসভা ভোটের সময় থেকেই একের পর তৃণমূলের ছোট স্তর থেকে শুরু করে উচ্চ স্তরের নেতারা বিজেপিতে যোগদান করেন। এমনকী লোকসভা ভোটের ফলাফল বেরোনোর পরও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। একের পর এক পুরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েত, এমনকী পঞ্চায়েত সমিতি পর্যন্ত দখল করে ফেলেছিল বিজেপি শিবির। তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই শুরু হয়েছে ছন্দপতন।
জমি ফেরত পাচ্ছে তৃণমূল
ফের একবার সেই সমস্ত হারানো জায়গাগুলি ফেরত পাচ্ছে তৃণমূল। মুকুল রায়ের খাস তালুকে নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া, গারুলিয়া, হালিশহর - একের পর এক পুরসভা বিজেপি দখল করে নিয়েছিল। সেগুলি ফের একবার তৃণমূলের কাছে এক এক করে ফেরত এসেছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আর একটি নাম। সেটি হল - হুগলির খানাকুলের কিশোরপুর ১ ও পুরশুড়ার রামমোহন লাল গ্রাম পঞ্চায়েত।
বিজেপি থেকে তৃণমূলে
জানা গিয়েছে, এখানকার পঞ্চায়েত সদস্যরা বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। তবে সেখানে গিয়ে তারা বুঝেছেন এই দল তাদের জন্য নয়। আর সেটা দেখেই ফের একবার পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে তারা ফেরত এসেছেন। পুর মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরেই ফের একবার ১২ জন চলে যাওয়া তৃণমূল কর্মী দলে ফেরত এসেছেন। এরা সকলেই পঞ্চায়েত সদস্য।
ববির প্রতিক্রিয়া
বিজেপিতে চলে গেলেও তারা ফের একবার পুরনো দলে ফেরত এসেছেন। এই প্রসঙ্গে ববি হাকিম জানিয়েছেন, ভয় দেখিয়ে, লোভ দেখিয়ে এদের জোর করে বিজেপিতে যোগদান করা হলেও তারা সেখানে থাকতে না পেরে ফের তৃণমূলে ফেরত এসেছেন।
অর্থাৎ মাস দুয়েক আগেও যেভাবে সারা রাজ্যে বিজেপি হাওয়া বইছিল এবং বিজেপি নেতারা হুঙ্কার দিয়েছিলেন যে এবার একে একে বহু তৃণমূল নেতানেত্রী গেরুয়া শিবিরে যোগদান করবেন, সেই কথা কত সত্যি হয় সেই নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে।
শোভন গেলেও ক্ষতি
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মত হেভিওয়েট তৃণমূল নেতারা বিজেপিতে যোগদান করলেও তিনি ফের একবার পুরনো হলে ফেরত যাবেন বলে জল্পনা চলছে। এই ঘটনা সত্যি হলে বাংলায় বিজেপি যে বড় ধাক্কা খাবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
[ যাদবপুরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ! ২ দিন লাগবে ঠাণ্ডা করতে, বাবুল দিলেন হুঁশিয়ারি]
[মহারাষ্ট্রের জন্য সারাজীবন লড়াই! রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে বললেন মোদী]