সৌগতের তত্ত্বেই পড়লে চলেছে সিলমোহর, অভিষেকের পদ নিয়ে জল্পনা
বিধানসভার ভোটের পরে সংগঠন নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক তৃণমূলের (trinamool congress) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) । সেই বৈঠকে উঠে আসতে পারে দলবদলুদের নিয়ে সিদ্ধান্ত। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিনের বৈঠকে
বিধানসভার ভোটের পরে সংগঠন নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক তৃণমূলের (trinamool congress) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) । সেই বৈঠকে উঠে আসতে পারে দলবদলুদের নিয়ে সিদ্ধান্ত। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিনের বৈঠকে ভোটের আগে যাঁরা দল ছেড়েছিলেন, তাঁদের নিয়ে এখনই দলে ফেরত নেওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্টই কম।
একের পর এক দলবদলুর আবেদন
বিজেপি ২০০ পার করবেই। মিডিয়া-সব সর্বত্রই ব্যাপক প্রচার। খানিক তাতে প্রভাবিত হয়েই তৃণমূলের প্রথমসারির বহু নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপিতে যোগ দিয়েই তাঁরা অভিযোগ করেন, আগের দলে দমবন্ধ হওয়া পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কাজ করতেই বিজেপিতে যোগ দেওয়া। কিন্তু বিধানসভা ভোটের ফলাফলে বিজেপি তিন সংখ্যার কাছাকাছি পৌঁছতে পারেনি। ফলে এবার সেইসব নেতানেত্রীরা পুরনো দলে ফেরত যেতে চেয়ে ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন। এই তালিকায় যেমন রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়ের সর্বক্ষণের সঙ্গী তথা তৃণমূলের ৪ বারের প্রাক্তন বিধায়ক সোনালী গুহ, তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাসও। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই তালিকায় রয়েছেন, প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রাক্তন বিধায়ক, প্রাক্তন মেয়র-সহ অনেকেই।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে দলকে নিয়ে প্রথম বৈঠক মমতার
এদিন দুপুরে দুটি বৈঠক করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম বৈঠকটি হবে সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের নিয়ে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। এটি শুরু হওয়ার কথা দুপুর দুটোয়। অন্যদিকে দুপুর তিনটেই আরও একটি বৈঠক হতে হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন জেলার সভাপতি, বিধায়ক এবং সাংসদরা। এই বৈঠকটি ভার্চুয়াল হবে। এই বৈঠতে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারেয়, তার মধ্যে দলবদলুদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
সৌগত রায়ের তত্ত্বেই সিলমোহর পড়তে পারে
নির্বাচনের ফল বেরনোর পরেই বিজেপিতে যাওয়া একের পর এক তৃণমূল নেতা পুরনো দলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছেন। যা নিয়ে কয়েকদিন আগে সৌগত রায় বলেছিলেন, যাঁরা ফিরতে চাইছেন, তাঁদের ছয়মাস মনিটারিং করা হোক। অর্থাৎ যাঁরা ফিরতে চাইছেন, তাঁরা আগামী ছয়মাস দলে ফিরতে পারবেন না। কেননা দলবদলের পরেও যে পরিস্থিতিতে তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীরা লড়াই করে দলকে জিতিয়েছিলেন, তাঁরা হতাশ হবেন। কেননা এই সব নেতা শুরু দলই ছাড়েননি, নির্বাচনের মুখে দলের সম্পর্কে নানা কটূ কথা বলেছেন। দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাই করেছেন ওইসব নেতারা।
দায়িত্ব বাড়তে পারে অভিষেকের
এবারের নির্বাচনের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন পায়ে আঘাত নিয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঘুরে বেরিয়েছেন, ঠিক তেমনই সামনে থেকে দলের প্রচার সামলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বর্তমানে রয়েছেন যুব তৃণমূলের দায়িত্বে। এবার তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই তৃণমূলের দায়িত্ব নিতে দেখা যেতে পারে বলে সূত্রের খবর। এদিনের বৈঠকে তৃণমূলের সংগঠনে বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। ঘাসফুল শিবিরের তরফে এক ব্যক্তি, একপদের নীতি নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
দিলীপ ঘোষের কাছে কৃতজ্ঞ! পরিবারের খারাপ সময়ে ভুলের কথা স্বীকার মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুর