ভয়ঙ্কর ভূমিকা ধনকড়ের! অপসারণ চেয়ে সংসদে প্রস্তাব আনতে তোড়জোড় তৃণমূলের
রাজ্যপাল-রাজ্য সংঘাতে নয়া মোড়। এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের অপসারণের দাবিতে সংসদে সরব হবে তৃণমূল। আজ বৃহস্পতিবার কালীঘাটে দলের সাংসদদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী। সংসদের উভয় কক্ষ অর্থাৎ লোকসভা এবং রাজ্
রাজ্যপাল-রাজ্য সংঘাতে নয়া মোড়। এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের অপসারণের দাবিতে সংসদে সরব হবে তৃণমূল। আজ বৃহস্পতিবার কালীঘাটে দলের সাংসদদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী। সংসদের উভয় কক্ষ অর্থাৎ লোকসভা এবং রাজ্যসভার সব সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ৩১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের ভাষণের মধ্যে দিয়ে বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। আর এই অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বৈঠকে যে রাজ্যপাল ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে তা স্পষ্ট সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়।
কালীঘাটে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাজ্যপালের ভূমিকা ভয়ঙ্কর পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। মুখ্যমন্ত্রী হিউম্যান রাইটস কমিশন কীভাবে তৈরি করলেন তা নিয়েও কৈফিয়েত চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ সাংসদের।
এখানেই শেষ নয়, লোকসভার সংসদীয় দলনেতা বলেন, রাজ্যপালের ভূমিকা দেখে স্পষ্ট যে তাঁকে বিজেপিই এই রাজ্যে রাক্য সরকারকে বিব্রত করতে পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, একেবারে রোডম্যাপ করেই তাঁকে পাঠানো হয়েছে বলেও অভিযোগ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেদিকে তাকিয়ে লোকসভাতে এবার সাংসদরা যুক্তি দিয়ে সরব হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে তৃণমূল সুত্রের খবর, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের অপসারণ চেয়ে সংসদে প্রস্তাব আনতে তোড়জোর তৃণমূলের। 'সাংবিধানিক পদে থেকেও কর্তব্যে গাফিলতি', এই মর্মে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনার সম্ভাবনা শাসকদলের বিরুদ্ধে। আর তা সুখেন্দুশেখর রায় আনবেন বলে জানা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে দিল্লিতে রাজ্যপাল ইস্যুতে এবার ব্যাপক ভাবে সরব যে তৃণমূল হতে চলেছে তা স্পষ্ট এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়।
উল্লেখ্য, গতকয়েকদিন আগে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে একের পর এক তোপ দাগেন ধনখড়। এমনকি রাজ্যপালকে অন্ধকারে রেখে অনেক কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। শুধু তাই নয়, বিধানসভার অধ্যক্ষকে পাশে নিয়ে একের পর এক তোপ দাগেন রাজ্যপাল।
যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়ে যায় শাসকদল। ক্ষুব্ধ হন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধায়। যার প্রভাব পড়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানেও। দুজনের দেখা হলেও কোনও কথা হয়নি। রাজ্যপাল কথা বললেও রাজ্যের পশাসনিক প্রধান কোনও বক্তব্য করেননি।
অন্যদিকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ক্যাডার আইন সংশোধন হতে চলেছে। এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক চিঠি লিখেছনে। কিন্তু সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে মোদী। এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদরা সরব হবেন বলেও দাবি তাঁর।