সিঙ্গুরে 'হার' লজ্জায় মাথা হেঁট করে দিয়েছে! হুগলির নেতৃত্বকে তুলোধোনা মমতার
লোকসভা ভোটে জেলায় জেলায় বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।
লোকসভা ভোটে জেলায় জেলায় বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। দক্ষিণে খানিক স্বস্তি পেলেও উত্তর থেকে পশ্চিম - বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের একের পর এক জেতা আসন বিজেপি ছিনিয়ে নিয়েছে। তবে হুগলিতে হেরে জোর ধাক্কা খেয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ করে তার মনে আঘাত দিয়েছে সিঙ্গুর বিধানসভায় হার।
কল্পনাতীত হার
এই এলাকায় যে তাঁকে হারতে হবে তা কল্পনা করতে পারেননি মমতা। কারণ ২০০৭ সালে সিঙ্গুর আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাম সরকারের ভিত নাড়িয়ে প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর ক্ষমতায় আসার মাত্র ৮ বছরের মধ্যেই সিঙ্গুর যেন হারিয়ে দিয়ে তৃণমূলকে বড় বার্তা দিয়েছে।
হার মানতে পারছেন না মমতা
এই হার তৃণমূল নেত্রী কিছুতেই মানতে পারছেন না। আর তাই হুগলি নেতাকর্মীদের সঙ্গে এদিন বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী সিঙ্গুরের হারকে দলের লজ্জা বলে অভিহিত করেছেন। বামেদের এই দুর্জয় ঘাঁটিকে জয় করে পরপর দু'বার লোকসভা ভোটে তৃণমূল জয় পেয়েছে। তবে এবারের লোকসভা ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সিঙ্গুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১০ হাজারের বেশি ভোটে পিছিয়ে রয়েছে।
বিজেপির বাজিমাত
এটা যেন কিছুতেই মানতে পারছেন না দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে জন্যই দলের জেলা নেতৃত্বকে এদিন কার্যত তুলোধোনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কেন্দ্রে দলীয় কোন্দল ও নেতাদের জোর-জুলুমের অভিযোগ বহুদিনের। আর তার সুযোগ তুলে বিজেপি বাজিমাত করেছে।
কোন্দল বরদাস্ত নয়
মানুষ তৃণমূলের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিজেপিকে বেছে নিয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই যত ধরনের সমস্যা রয়েছে তা ভুলে গিয়ে দলের নেতাকর্মীদের এক হয়ে কাজ করা বার্তা দিয়েছেন মমতা। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন আর দলীয় কোন্দল ও অন্যায় ভাবে টাকা তোলা তিনি সহ্য করবেন না। এমন ঘটনা জানতে পারলেই দল কড়া ব্যবস্থা নেবে।
মানুষ কী ফিরে চাইবে
যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ সিদ্ধান্তের পর জেলার তৃণমূল নেতাকর্মীরা পথে আসবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। একইসঙ্গে প্রশ্ন রয়েছে আমজনতা ফের একবার তৃণমূলের দিকে মুখ ঘোরাবে কিনা।