থানায় ঢুকে মস্তানি তৃণমূল নেতার, চড় পুলিশ অফিসারকে
বীরভূম জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুদীপ্ত ঘোষ এ দিন একটি ঘটনার কথা জানাতে বোলপুর থানায় আসেন। বলেন, পুলিশকে অবিলম্বে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করতে হবে। কিন্তু ডিউটি অফিসার বলেন, খোঁজখবর না নিয়ে তিনি কিছু করবেন না। এতেই চটে যান ওই নেতা। তিনি শুধু গালিগালাজ করেন তাই নয়, ওই অফিসারকে চেয়ার থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁকে চড় মারেন বলেও অভিযোগ। অনুব্রত মণ্ডলের কথা বলে ওই অফিসারকে 'দেখে নেওয়ার' হুমকি দেন।
মজার ব্যাপার হল, যখন বোলপুর থানায় এই তাণ্ডব চলছে, সেই সময় রাজ্য পুলিশের ডিজি কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের এজলাসে দাঁড়িয়ে বলছেন, পাড়ুই মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের যোগ নেই। ওঁর উসকানির ফলে বীরভূম জেলায় হিংসা ছড়িয়েছিল ও সাগর ঘোষ খুন হয়েছিলেন, এমন প্রমাণ পুলিশ পায়নি।
থানার অন্দরে তৃণমূল নেতার মস্তানি প্রথমে পুলিশ লঘু করে দেখাতে চেয়েছিল। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু হতেই পুলিশ সুপার থানার আইসি-কে নির্দেশ দেন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করার। সুদীপ্ত ঘোষ ছাড়াও তৃণমূলের আরও কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছে পুলিশ।