মমতার নির্দেশ মানল না অনুব্রতর জেলা! পঞ্চায়েতে প্রার্থী হয়ে পদ খোয়াতে চলেছেন নেতারা
দলের নির্দেশ অমান্য করে ব্লক সভাপতিরাই প্রার্থী হয়েছেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে। ফলে বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ফাঁপরে পড়েছে।
দলের নির্দেশ অমান্য করে ব্লক সভাপতিরাই প্রার্থী হয়েছেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে। ফলে বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ফাঁপরে পড়েছে। শ্যাম রাখি না, কুল রাখি অবস্থা অনুব্রত মণ্ডলের! জেলা পরিষদ বিরোধী শূন্য করেও তাই বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এই অবস্থায় হয় প্রার্থীপদ ছাড়তে হবে, নতুবা ব্লক সভাপতির পদ ছাড়তে হবে ওই তৃণমূল নেতাদের।
[আরও পড়ুন: ঝান্ডার থেকে ডান্ডা বড় করতে হবে, তৃণমূলকে পালিশের দাওয়াই দিলেন দিলীপ ঘোষ]
এবার তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেয় কোনও ব্লক সভাপতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। কিন্তু মনোনয়ন পর্ব শেষে দেখা গেল বীরভূম জেলায় পাঁচটি ব্লকের সভাপতি জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি আসনে প্রার্থী হয়েছেন। দলের নির্দেশ এভাবে অবহেলিত হওয়ায় জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল উষ্মা প্রকাশ করে জানান, অবিলম্বে ব্লক সভাপতির পদ ছাড়তে হবে ওই পাঁচ প্রার্থীকে।
কিন্তু পাঁচ ব্লক সভাপতি তাই এখন বিপাকে পড়েছেন। প্রার্থী পদ ছাড়লে, আসনগুলি ফাঁকা হয়ে যাবে। আর ব্লক সভাপতির পদ ছাড়লে দলে ক্ষমতা খর্ব হবে। এই অবস্থায় দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা-ই তাঁরা মেনে নেবেন বলে জানান। অনেকে ইতিমধ্যেই ব্লক সভাপতির পদ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছেন। মহম্মদ বাজার, সিউড়ি এক নম্বর, মযূরেশ্বর দু-নম্বর, মুরারই এক নম্বর ও দু-নম্বর ব্লকে এই নয়া সমস্যায় পড়েছে দল ।
প্রায় প্রতিটে ক্ষেত্রেই একটা একটা জেলা পরিষদ আসনে বহু প্রার্থীর লাইন। সেই লাইন ঠেকাতেই ব্লক সভাপতি নিজে প্রার্থী হয়েছেন। বর্তমানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতে তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা ব্লক সভাপতির পদ ছাড়তে এখন রাজি। দলের স্বার্থেই তাঁরা দলের নির্দেশ অমান্য করতে বাধ্য হন বলে জানান ব্লক সভাপতিরা।