বিজেপির বাড়-বাড়ন্ততেই 'শঙ্কা'য় তৃণমূল কংগ্রেস! শারদ সংখ্যায় নেতার লেখায় শোরগোল
২০২১-এর নির্বাচনটা আর যাই হোক ২০১৬-র মতো হবে না। একথা বুঝতে পেরেছে তৃণমূল নেতা থেকে সমর্থক সবাই। ফলে তার প্রস্তুতি নিয়ে গিয়ে নেতৃত্বের মধ্যে কোথাও কি শঙ্কা কাজ করছে, জাগো বাংলার শারদ সংখ্যায় দলে
২০২১-এর নির্বাচনটা আর যাই হোক ২০১৬-র মতো হবে না। একথা বুঝতে পেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা থেকে সমর্থক সবাই। ফলে তার প্রস্তুতি নিয়ে গিয়ে নেতৃত্বের মধ্যে কোথাও কি শঙ্কা কাজ করছে, জাগো বাংলার শারদ সংখ্যায় দলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সির লেখাতেই তা ফুটে উঠেছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। বিশেষ করে যেভাবে বিজেপি ২০১৯-এর বাংলায় ১৮টি আসন দখল করেছে, তার থেকে কয়েকগুণ বেশি শক্তি নিয়ে তারা যে ২০২১-এর নির্বাচনে ঝাঁপাবে, তা নিয়ে আর লুকোচুরির কিছুই নেই।
সুব্রত বক্সির লেখায় 'গেরুয়া আতঙ্ক'
কেউ যা ভাবেন, লেখাতেও তা সামনে চলে আসে। সাধারণত কেউই এই ধারনা থেকে বাদ যান না বিশেষ কিছু ক্ষেত্র বাদ দিলে। যেমনটি করেছেন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্কি, জাগো বাংলার শারদ সংখ্যায় লেখায়। সেখানে তিনি তুলে ধরেছেন ২০১৯-এর বিজেপির জয়ের কথা। প্রথমে ২০১৪-এর সঙ্গে ২০১৯-এর তুলনা করলেও, এবারের জয়কে ভোটে কারচুপি আর ইভিএমের গরমিলকেও কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন। তার মধ্যেও লেখায় ধরা পড়েছে গেরুয়া আতঙ্কের কথা।
দলের কর্মীদের করেছেন সতর্ক
সুব্রত বক্সি দলের কর্মীদের বিজেপির থেকে সতর্কও করেছেন। তিনি বলেছেন, সব কিছু মাথায় রেখেই ২০২১-এর জন্য তৈরি হতে হবে। তিনি লিখেছেন, ওই নির্বাচনের আগে রয়েছে পুরসভার নির্বাচন। যে নির্বাচন অ্যাসিড টেস্টের মধ্যে দিয়ে দলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
বিরোধী বলছেন ঘাটতি শুরু প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগের সময় থেকেই
বিরোধীরা অবশ্য বলছেন, তৃণমূলে আত্মবিশ্বাসের অভাব শুরু হয়েছে, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর থেকেই। সেই আত্মবিশ্বাসে এতটাই ঘাটতি যে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নিয়োগ করতে হয়েছে ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরকে। একসময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি নিজেই দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, তিনি নিচ্ছেন অপর একজনের সাহায্য। তাহলে কি নিজেই নিজের ওপর ভরসা করতে পারছেন না। প্রশ্নটা কিন্তু ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে। সেই চিন্তারই কি প্রভাব এবার পড়ল সুব্রত বক্সির লেখায়, প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
[প্রতিদিন অযোধ্যা মামলা শুনানির সময় নেই, জম্মু-কাশ্মীর মামলা নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের]
[আদালতে প্রভাবশালী তকমা! ১৪ দিনের জেল হেফাজত এসএমএইচ মির্জার]