বিজেপিকে 'গণতন্ত্র' শেখালেন তৃণমূলের সোহম! তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি
রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে আন্দোলন করছে বিজেপি (bjp)। মুকুল রায় সহ বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, তৃণমূলের (trinamool congress)আমলে রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। অথচ তাতেই কিনা বানান ভুল। যা নিয়ে বিদ্রুপের সামনে বঙ্গ বিজেপি। যদি বানান ভুলে (spelling mistake) ঘাসফুল শিবিরও কম কিছু যায় না। জায়গায় জায়গায় তাদের দলের নামের বানানেই ভুল।

অমিত শাহের সভাতেই বানান ভুল
১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরের সভায় অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে সেদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন দলের অন্তত ৮০ জন নেতানেত্রী জনপ্রতিনিধি। সভায় বাংলায় গণতন্ত্রহীনতার অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি নেতারা। সেদিনের সেই সভাতেই স্টেজের ওপরে থাকা ফ্লেক্সে লেখা ছিল অপশাসন হাটাও, গনতন্ত্র বাঁচাও। দুদিটি বানান ভুল ছিল সেখানে। সেদিন থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল। বানান ভুল নিয়ে চর্চাও শুরু হয়ে গিয়েছিল সেদিন থেকেই। প্রসঙ্গত এই ছবিই শুভেন্দু অধিকারী তাঁর টুইটার প্রোফাইলে কভারে দিয়েছিলেন।

সোহমের কটাক্ষ
তবে দেরিতে হলেও তা চোখে পড়েছে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর। দলে তাঁর একাধিক দায়িত্বও রয়েছে। তৃণমূলের যুব সংগঠনে তিনি যেমন সক্রিয়, ঠিক তেমনই তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও খুবই কাছের বলেই পরিচিত। তিনিই ফ্লেস্কে বানান ভুল নিয়ে সরব হয়েছে। বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি টুইটারে বলেছেন, গণতন্ত্র তো মানেন না, অন্তত শব্দের বানানটা ঠিক করে লিখতে পারতেন। তিনি বিজেপি নেতাদের 'ণ' এবং 'ন'-এর পার্থক্যও বুঝিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি টুইটারে বিজেপিকে ট্যাগ করেন, পাশাপাশি লজ্জায় মুখ ঢাকার ইমোজিও দেন।

বানান ভুলে পিছিয়ে নেই তৃণমূল
সোহম যে দলটা করেন, সেই দলের সভাতেও দলের নামটাই ভুল বানান। এমনটা জায়গায় জায়গায় দেখা গিয়েছে। মানে তৃণমূলের জায়গায় তৃনমুল। সেই 'ণ' এবং 'ন'-এর পার্থক্য। বিরোধীদের প্রশ্ন এই পার্থক্য কি সোহম তাঁর দলের নেতা কর্মীদের বুঝিয়েছেন।

ভুল বানান নিয়ে প্রশ্নের মুখে রাজনৈতিক দলগুলি
ভুল বানান নিয়ে প্রশ্নের মুখে রাজনৈতিক দলগুলি। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপি ও তৃণমূলের প্রচার বেশি চলছে বলে, তাদের ভুলটাও বেশিই সামনে আসছে। বর্তমান সময়ে বানান ভুল নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিজেপি। তাদের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের অনুষ্ঠানে বিলি করা লিফলেটে সদস্যতা অভিযান লেখা ছিল। যা নিয়ে কটাক্ষ হজম করতে হয়েছে বিজেপিকে। বানান ভুল দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর বাংলা টুইটেও। এর থেকে বাদ যায়নি তৃণমূলও। শিক্ষিত মহলের অভিযোগ, বাংলার সংস্কৃতির হাল নিয়েই।

শুভেন্দু থেকে দিলীপ উগ্র হিন্দুত্ববাদকেই অস্ত্র করছে, বুমেরাং হতে পারে একুশের কুরুক্ষেত্রে