ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে বড় দায়িত্বে মেনে নিতে আপত্তি, 'পরিযায়ী' বলে আক্রমণ তৃণমূল নেতার
সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ভিড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। শাসক দলে বড় পদও পেয়েছেন তিনি। আলিপুরদুয়ারে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তাতে অবশ্য সন্তুষ্ট নন শাসক দলের পুরাতনীরা। আলিপুর দুয়ারের একাধিক নেতা এই নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন। তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে প্রাক্তন জেলা সভাপতির বক্তব্যে। ঋতব্রতকে পরিযায়ী বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।

ঋতব্রতকে আক্রমণ
আলিপুরদুয়ারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একুশের ভোটের আগে এই নিয়ে জেলার নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বুধবার তা প্রকাশ্যে এসে পড়ে। আলিপুরদুয়ারের তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি সরাসরি ঋতব্রতকে আক্রমণ করে বলেছেন পরিযায়ী বলে। অর্থাৎ তিনি যেখন যেখানে সুবিধা তখন সেই দলে গিয়ে ভেঁড়েন।

সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত ঋতব্রত
একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে ঋতব্রতর বিরুদ্ধে। এমনকী ঋতব্রতর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসেরও অভিযোগ করেছিলেন এক তরুণী এই নিয়ে দলের অন্দরে আসন্তোষ তৈরি হয় তাঁকে নিয়ে। তারপরেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় আলিমুদ্দিন।

প্রকাশ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব
একুশের ভোটের আগে একাধিক জেলায় শাসক দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। আরামবাগে অপরূপা পোদ্দার প্রকাশ্যেই জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। অন্যদিকে কোচবিহার, রায়গঞ্জেই একাধিক নেতা প্রকাশ্যে একাধিক পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজেদের পদ ছেড়েছেন। এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতোর তৈরি হয়েছে।

বিজেপির আক্রমণ
এই নিয়ে বিজেপি আক্রমণ শানিয়েছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। সাসপেন্ড এবং বহিষ্কৃত নেতাদের দলে আনছে তৃণমূল। দুর্নীতি লুকোতেই শাসক দলের এই পদক্ষেপ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। যদিও শাসক দলের কোন্দলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন তাঁরা।

জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে প্রবেশের বিধিনিষেধ উঠে গেল