পরিকল্পনা করেই খুন শ্রীনু? পরিবারের বয়ানে কি তথ্য উঠে এল!
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়ে থাকতে পারে শ্রীনু। পরিবারের তরফে কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রোশ বা শত্রুতার বিষয়েই বারবার ইঙ্গিত করা হয়েছে।
কলকাতা, ১২ জানুয়ারি : খড়্গপুরের মাফিয়া ডন শ্রীনু নাইডু খুনের পর থেকে নানা তথ্য উঠে আসছে। মাফিয়া রাজ চালানোর পাশাপাশি শ্রীনুর যেহেতু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাই শত্রুতার পাশাপাশি এই বিষয়টিও পুলিশের তদন্তের অন্যতম অঙ্গ।
তবে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়ে থাকতে পারে শ্রীনু। বুধবার ভরদুপুরে খড়্গপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে হামলা চালানোর সময়ে মোটরবাইকে চেপে দুষ্কৃতীরা এসেছিল। ঢোকার সময়ে বোমা ছুড়তে শুরু করে তারা। এরপরই পার্টি অফিসে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। এক হামলাকারীকে ধরেও ফেলেছিলেন শ্রীনু।
শ্রীনুর এক সঙ্গী জানান, ঘটনার সময়ে ধ্বস্তাধস্তিতে শ্রীনু মাটিতে পড়ে গেলে তাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। বাকী আর চার সঙ্গীও গুলিবিদ্ধ হয়। একজন শ্রীনুর সঙ্গেই মারা গিয়েছে। এবং বাকী তিনজনের মধ্যে ২ জনের গুরুতর চোট রয়েছে।
পরিবারের তরফে কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রোশ বা শত্রুতার বিষয়েই বারবার ইঙ্গিত করা হয়েছে। শ্রীনুর মা যেমন সরাসরি রামবাবু দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। রামবাবুই খুন করেছে, দাবি শ্রীনুর মায়ের।
এদিকে আর এক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই খুনের পিছনে শ্রীনুর পুরনো দুই সঙ্গীর হাতও থাকতে পারে। এই দুজন আগে শ্রীনুর সঙ্গে কাজ করত। তবে পরে ঝামেলা হওয়ায় দুজনে আলাদা হয়ে যায়। সেই থেকেই শ্রীনুর সঙ্গে বিরোধের সূত্রপাত বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে যেটা সবচেয়ে বেশি চোখে লেগেছে পুলিশের তা হল, শ্রীনু এর আগে বেশ কিছুদিন কলকাতাতেই ছিলেন। খড়্গপুরে আসেন বুধবার বেলাতেই। তারপরই দুপুরে সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে আড্ডা মারছিলেন তৃণমূল পার্টি অফিসে বসে। সেইসময়ই তার উপরে হামলা হয়। তার মানে কি শ্রীনুর গতিবিধির উপরে আগে থেকেই লক্ষ্য রাখছিল হামলাকারীরা। এই সমসত দিক মাথায় রেখেই তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।