মেদিনীপুরে বিজেপি নেতার সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করায় শোকজ তৃণমূল নেতাকে
এগরা মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মঞ্চে বসা নিয়ে শো কজ করা হয়েছে এগরা পুরসভার চেয়ারম্যান ও এলাকার বিধায়ক সমরেশ দাশকে। গোয়ালতোড় এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে বিজেপির সাংসদ কুনার হেমব্রমের সাথে এক মঞ্চে বসা নিয়ে শো কজ করা হয়েছে শালবনীর তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোকেও। এই নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
আর এই বিতর্কের মাঝেই খড়গপুরে আসা দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার মহান্তির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে খড়গপুরের বিধায়ক প্রদীপ সরকার নিজে তাঁর সঙ্গে এলাকার বিজেপি নেতা প্রেম চাঁদ ঝার শুধুমাত্র পরিচয় করিয়ে দেননি। যে প্রেম চাঁদ ঝা তার বিরূদ্ধে খড়গপুর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি র হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী প্রদীপ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেন তাকে তার সাথী ও ' দোস্ত ' বলে পরিচয় দিয়েছেন। আর এই বিষয়টি জানার পর বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে।
এই বিষয়টি তিনি জানেন বলে জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। তবে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান নি অজিত মাইতি।
তবে বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাস। তিনি বলেন , আমরা সৌজন্য রাজনীতিতে বিশ্বাস করি কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা তা করেন না। যারা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের তোলা দেয় না তাদের শো কজ করা হয়। আর যারা তাদের দলের নেতাদের তোলা দেয় তাদের শো কজ করা হয় না।
শুক্রবার খড়গপুর সেকশনে রেলের চলা বিভিন্ন কাজের অগ্রগতি ও এই এলাকায় থাকা সেতুগুলির অবস্থা দেখতে আসেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার মহান্তি। পরে রাতে খড়গপুরে বিভিন্ন জন প্রতিনিধি, সাধারণ মানুষ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করতে যান প্রদীপ সরকারও। সেখানে গিয়েছিলেন প্রেম চাঁদ ঝাও। সেখানেই দুজনের মধ্যে কথা হয়। এই সময় প্রদীপ সরকার এগিয়ে নিয়ে যান প্রেম চাঁদ ঝা কে। সঞ্জয় কুমার মহান্তি র সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন ও বলেন যে এই প্রেম চাঁদ ঝা তার বিরূদ্ধে খড়গপুর বিধানসভা উপ নির্বাচনের বিজেপি র হয়ে লড়াই করেন কিন্তু তিনি তার সাথী ও বন্ধু।
এই
নিয়ে
একটি
বিতর্ক
সৃষ্টি
হয়েছে।যদিও
বিষয়টি
আমল
দিতে
চাইছেন
না
প্রদীপ
সরকার।
তিনি
বলেন,
রেলের
আধিকারিকদের
সাথে
বৈঠক
করার
জন্য
তিনি
গিয়েছিলেন।
'
ওটা
রেলের
অনুষ্ঠান।
কাকে
ডাকবে
আর
কাকে
ডাকবে
না
সেটি
ওদের
ব্যাপার।
এটা
কোন
রাজনৈতিক
বা
প্রকাশ্য
সভা
ছিল
না।
ওখানে
যাওয়ার
পর
আমার
সাথে
প্রেম
চাঁদ
ঝা
র
দেখা
হয়।
দেখা
হবার
পর
সৌজন্য
বিনিময়
হয়েছে।
আমরা
তো
সৌজন্য
রাজনীতিতে
বিশ্বাস
করি।
এটাতে
বিতর্কের
কী
আছে?
এদিকে
তৃণমূল
কংগ্রেসের
একাংশ
দাবি
করেছে
যে
নির্বাচনে
হারের
পর
এখন
বিজেপি
তে
কোন
ঠাসা
প্রেম
চাঁদ
ঝা।
তিনি
এখন
প্রদীপ
সরকারের
হাত
ধরে
তৃণমূল
কংগ্রেসে
আসতে
চাইছেন।
যদিও
এটাকে
গুজব
বলেই
মন্তব্য
করেছেন
প্রেম
চাঁদ
ঝা।