বিজেপিতে পদ যেতেই সায়ন্তন বসুর বাড়িতে প্রভাবশালী ২ তৃণমূল বিধায়ক! দিলীপ ঘনিষ্ঠ নেতার অবস্থান নিয়ে জল্পনা
সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রাজ্য সভাপতি হওয়ার পরে বিজেপির (BJP) রাজ্য কমিটিতে রদবদলের জেরে সারাধণ সম্পাদকের (General Secretary) পদ থেকে সরানো হয় সায়ন্তন বসুকে (Sayantan Basu)। বুধবার বিকেলেই বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটির ঘোষণা হয়। আর ওইদিন রাতেই সায়ন্তন বসুর বাড়িতে হাজির উত্তর ২৪ পরগনার এক তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক-সহ তৃণমূলের বিধায়ক তথা প্রভাবশালী নেতা সমীর চক্রবর্তী (Samir Chakraborty)। যা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

বিজেপির রাজ্য কমিটি থেকে বাদ সায়ন্তন, প্রতাপ
বুধবার বিকেলে বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটির ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন ঘোষিত কমিটিতে সারাধণ সম্পাদকের পদ থেকে বাদ পড়েছে সায়ন্তন বসু। অন্যদিকে সহ-সভাপতির তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন পুরনো মুখ প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দুজনকে রাজ্য কমিটির কোনও পদেই রাখা হয়নি। অন্যদিকে সহ সভাপতির তালিকা থেকে বাদ পড়া জয়প্রকাশ মজুমদারকে মুখপাত্রের তালিকায় রাখা হয়েছে। সৌমিত্র খান, অগ্নিমিত্রা পালের মতো অনেকের পদ বদল হয়েছে। তবে সব থেকে চোখে পড়েছে একটা সময়ে বিজেপির সামনের সারিতে থাকা সায়ন্তন বসুর বাদ পড়া নিয়ে।

মিডিয়া সেলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন সায়ন্তন
বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটির তালিকা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ঢোকা মাত্রই তিনি ওই গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান বলে বিজেপি সূত্রে খবর। তবে গ্রুপ ছাড়া নিয়ে সায়ন্ত বসুর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

নতুন রাজ্য কমিটি নিয়ে সায়ন্তন বসুর প্রতিক্রিয়া
বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি প্রকাশ হওয়ার পরে একটি টুইটে সায়ন্তন বসু দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ছয়বছর তাঁকে সুযোগ দেওয়ায় দিলীপ ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদারের প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি মনে করেন, বিজেপির নতুন কমিটি দলকে আগামী দিনে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।

রাতে সায়ন্তন বসুর বাড়িতে প্রভাবশালী ২ তৃণমূল নেতা
বুধবার রাতে সায়ন্তন বসুর বাড়িতে যান প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার আরও এক তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা সায়ন্তন বসুর বাড়িতে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পরে বেরিয়ে আসেন। সঙ্গে থাকা এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, সাক্ষাৎকার ছিল সৌজন্যমূলক, পুরনো পরিচিত হিসেবেই তারা সায়ন্তন বসুর বাড়িতে চা খেতে গিয়েছিলেন।

সায়ন্তনের প্রতিক্রিয়া
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বৈঠক সম্পর্কে সায়ন্তন বসু দাবি করেছেন, সমীর চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একান্তই ব্যক্তিগত। মাঝে মধ্যেই তিনি তাঁর (সায়ন্তন) বাড়িতে আসেন।
যদিও গত ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে খুব একটা বেশি সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি। সাম্প্রতিক সময়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, সিঙ্গুরে বিজেপির কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন সায়ন্তন বসু। কিন্তু সেই সময়েও সাধারণ সম্পাদক থাকা ওই নেতা দেখা যায়নি কর্মসূচিতে। এবার রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়ার পরে তাঁকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
কলকাতার পরবর্তী মেয়র পদে এগিয়ে ফিরহাদই! সিলমোহর দিতে মমতা-অভিষেকের উপস্থিতিতে বৈঠকে তৃণমূল