বিধাননগরের মেয়রের পদ থেকে ইস্তফা সব্যসাচী দত্তর
বাংলার রাজনৈতির দল পরিবর্তনের বিভিন্ন ছবি লোকসভা ভোটের আগে পড়ে দেখা গিয়েছে।
বাংলার রাজনৈতির দল পরিবর্তনের বিভিন্ন ছবি লোকসভা ভোটের আগে পড়ে দেখা গিয়েছে। কিন্তু যাঁকে নিয়ে লোকসভা ভোটের আগে থেকেই রাজনৈতিক রঙ বদলের খবর ছিল, সেই সব্যসাচী দত্তের তৃণমূল ছাড়া নিয়ে জল্পনার পারদ ক্রমেই চড়েছে এই বেশ কয়েক দিনে। এদিন, সব্যসাচী দত্ত বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে ইস্তফা ঘোষণা করলেন।
বাংলার আঙিনায় 'লুচি আলুরদম রাজনীতি' কথাটির সূত্রপাতই হয়েছে মুকুল রায় ও সব্যসাচী দত্তর বৈঠক ঘিরে। যে বৈঠক সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে শুরু হয়।আর তার রেশ লোকসভা নির্বাচনের পর পর্যন্ত চলে। এরমধ্যে গঙ্গা দিয়ে বয়ে যায় অনেক জল। তবে একটা সময়ে বিধাননগরের মেয়র পদে থাকা সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এরপর পার্টির ক্ষোভের মুখে পড়েন সব্যসাচী। ২০১৫ সালের ৬ অক্টোবর থেকে বিধাননগরের মেয়র পদে থাকা সব্যসাচীর বিরুদ্ধে দলীয় কাউন্সিলররাই অনাস্থা আনেন। পরে তা নিয়ে হাইকোর্টের দরবারে গেলে রায় যায় সব্যসাচী দত্তের পক্ষেই। এরপর এদিন সব্যসাচী দত্ত বিকেল ৪ টেয় সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে মেয়র পদ থেকে ইস্তফা ঘোষণা করেন।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে মূলত তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন সব্যসাচী দত্ত। তাঁর দাবি, এলাকায় জলা জমা ভরাটের বিরুদ্ধে সব্যসাচী দত্ত এলাকায় আওয়াজ তুলেছিলেন।এছাড়াও বিধাননগরে বোইনি নির্মাণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সব্যসাচী। কিন্তু বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়রের দাবি, তিনি এই কাজে দল ও রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও রকম সাহায্য পাননি। ফলে একাধিক ইস্যুতে দলকে পাশে না পেয়েই এই ইস্তফার সিদ্ধান্ত বলে জানান সব্যসাচী দত্ত।