সব্যসাচী-অর্জুন সাক্ষাৎ রাতের অন্ধকারে! হাসপাতালে তৃণমূল নেতা পৌঁছতেই নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে অর্জুনের শক্তিশালী বাণে ভাটপাড়ায় রীতিমতো কুপোকাত হয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে, সব্যসাচী দত্তও ক্রমে ' কাঁটা' হয়ে উঠছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিবিরের পক্ষে। বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র ক্রমেই দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে বিজেপির দিকে ঝুঁকে থাকলেও দলত্যাগের ইঙ্গিত দিচ্ছেন না। যা নিয়ে ঘাসফুল শিবিরে ব্যাপক অস্বস্তি। এককালে তৃণমূলী রাাজনীতিতে দাপট দেখানো সব্যসাচী ও অর্জুন আপাত দৃষ্টিতে রাজনীতির দুই ভিন্ন শিবিরে। আর সেই প্রেক্ষাপটকে সঙ্গে নিয়ে গণেশ চতুর্থীর রাতে বিজেপির অসুস্থ সাংসদ অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে বাইপাসের হাসপাতালে দেখা করতে আসেন তৃণমূলের নেতা সব্যসাচী দত্ত।

রাত দশটায় সাক্ষাৎ অর্জুন-সব্যসাচীর
এককালে দু'জনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সৈনিক ছিলেন। আর আজ পথা খানিকটা 'ভিন্ন'। বিজেপির ভাটপাড়ার সাংসদ অর্জুন সিংয়ের মাথা ফেটে যায় তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিক সংঘর্ষে। এরপর তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি নামী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর এই হাসপাতালে সোমবার রাত ১০ টায় পৌঁছে যায় বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্তের গাড়ি। সাক্ষাৎ হয় দুই নেতার।

জল্পনা আরও বাড়ালেন সব্যসাচী
প্রসঙ্গত, সল্টলেকে সব্যসাচী দত্তের গণেশ পুজো ঘিরে সোমবার থেকেই বাংলার রাজনীতির গোপন সমীকরণ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। পুজোতে দেখা যায়, রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেননকে। অথচ সেখানে সব্যসাচী ঘনিষ্ঠরা ছাড়া আর কোনও তৃণমূল সদস্যকে দেখা যায়নি। যা নিয়ে স্বভাাবতই শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া সমীকরণের হিসাব।

'কাশ্মীর শান্ত হয়ে গেল, বাংলা হল না'
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই দল বিরোধী গতিবিধি দেখা যায় সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে।এর জেরে বিধাননগরের মেয়র পদও তিনি ছেড়ে দেন। এরপর ,গণেশ চতুর্থীর দিন সব্যসাচী মন্তব্য করেন 'কাশ্মীর শান্ত হয়ে গেল, আর বাংলা হচ্ছে না, বাংলার মানুষ হিসাবে এটা লজ্জার'।
[আরও পড়ুন:'অজান্তে'ই ভারতের পর্যটনের দূত মোদী! কেদারনাথে বুকিং-এ ঝোঁক তীব্র]
[আরও পড়ুন:ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তিবৃদ্ধিতে যুক্ত হচ্ছে ৮ অ্যাপাচে অ্যাটাক চপার]