দিদিকে বলো কর্মসূচিতে রাত জাগা! 'লজ্জা'য় হেলমেটে মুখ ঢাকলেন প্রভাবশালী তৃণমূল কংগ্রেস নেতা
দিদিকে বলো কর্মসূচিতে অনেক জায়গাতেই রাত জাগছেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। গ্রামবাসীর কাছে অভাব অভিযোগ শোনার পাশাপাশি তাঁদের বাড়িতে রাত কাটাচ্ছেন। কিন্তু সেখানে গিয়েই বিড়ম্বনা। যার ফলে মানুষের সামনে গিয়ে নেতা নিজের মুখ ঢাকতে রাস্তায় চলছেন হেলমেট মাথায় দিয়ে। এমনই চাঞ্চল্যকর চিত্র পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের। নেতার নাম ঘনশ্যাম দেবনাথ।

না ডাকায় 'আনন্দ'
অন্য অনেকের মতোই দিদিকে বলোতে অংশ নিচ্ছেন মহিষাদলের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ঘনশ্যাম দেবনাথ। গ্রামবাসীদের সঙ্গে রাতে খেয়ে সেখানেই রাত্রিযাপন। কিন্তু ঘুমানোর পর অন্যদের ঘুম ছুটে যাওযার মতো অবস্থা। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তাঁর নাম ডাকার চিত্র। সঙ্গে থাকা অন্য নেতারা এই ঘটনায় অবশ্য মজাই পেয়েছেন। মহিষাদলের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ নিজেই জানিয়েছেন সেকথা। তিনি জানিয়েছেন, একেবারে বাঁশির মতো আওয়াজ।

দিদিকে বলোতে মহিষাদলের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ
তবে এই নাক ডাকার জেরে কার্যত কাঠগড়ায় মহিষাদলের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ঘনশ্যাম দেবনাথ। তিনি নিজেই জানাচ্ছেন যিনি নাক ডাকেন, তিনি ঘুমিয়ে পড়লে নিজে কী করছেন, তা বুঝতে পারেন না। তবে এটাও যে সবারই এক অভিজ্ঞতা, তা তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর বারবারই প্রশ্ন, তিনি যে নাক ডাকছেন, তা তিনি বুঝবেন কী করে।

ঘুমের ঘোরে চোর চোর
রাতে শুধু নাক ডাকাই নয়, ঘুমের ঘোরে চোর চোর বলেও চিৎকার করছেন বলে জানা গিয়েছে। যিনি এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ তিনি হলেন, মহিষাদলের ভূমি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ রাখালচন্দ্র মণ্ডল। তৃণমূলের মহিষাদলের ব্লক সভাপতি তিলককুমার চক্রবর্তী তুলে ধরেছেন সেই কথা। এই কারণে দিদিকে বলো কর্মসূচিতে তাঁকে সারারাত জেগে থাকতে হয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। সেটাও একটা অভিজ্ঞতা বলে জানিয়েছেন তিনি।

নেতা মুখ ঢাকলেন হেলমেটে
নিজের মুখে মহিষাদলের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ঘনশ্যাম দেবনাথ নাক ডাকা নিয়ে যা কিছু সাফাই দিন না কেন, তাঁর নাক ডাকার খবর চাউর হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় লজ্জায় পড়ে গিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, তিনি এখন রাস্তায় বের হলেই হেলমেটে মুখ ঢেকেই পথ চলছেন।
প্রশান্ত কুমারের কৌশল! 'দিদিকে বলো'তে নেমে পড়লেন দিলীপ ঘোষ