সবংয়ে খুন তৃণমূল নেতা, মানস ভুঁইঞার নামে এফআইআর দায়ের তৃণমূলের!
সবং (পঃ মেদিনীপুর), ৯ এপ্রিল : ভোটের মুখে তপ্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং এলাকা। সবংয়ের দুবরাজপুরের তৃণমূল নেতা জয়দেব জানাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। রাতে নির্বাচনের প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে আক্রমণ করে একদল। বাঁশ, রড়, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় ওই নেতাকে।
তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির দোষারোপ পাল্টা দোষারোপের পালা। এলাকার তৃণমূল প্রার্থী নির্মল ঘোষের অভিযোগ এলাকার কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইঞার মদতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ভোটে হেরে যাবে বুঝতে পেরেই মানসবাবু উত্তেজনা তৈরি করতে চাইছেন।
তৃণমূলের তরফে মানস ভুঁইঞা-সহ বেশ কয়েকজনের নামে স্থানীয় থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কমিশনেও এবিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই মৃত্যু হয়েছে জয়দেবের। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানিয়েছেন, সবং কেন্দ্রে মানস ভুঁইয়ার জয় নিশ্চিত বলেই তৃণমূল এসব কাণ্ড ঘটাচ্ছে এতে মানসবাবুর কোনও হাতই নেই।
এর পাশাপাশি অধীরবাবু হুমকির সুরেই বলেন, "সাহস থাকলে অভিযোগ প্রমাণ করুন। ভোটের আগে গ্রেফতার করে দেখান মানস ভুঁইঞাকে। তারপর গোটা রাজ্যজুড়ে আমরা দেখে নেব।"
তৃণমূলের অভিযোগ, মহম্মদ সেলিম বদলা নেওয়ার যে মন্তব্য করেছিলেন তারই উষ্কানিতে এই সব ঘটনা ঘটছে। এদিকে তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "সেলিম বলছে বদলা নেব, সূর্য বলছে বদলা নেব, মানস ভুঁইঞা ওদেরই ভাগ্নে। পুরো বিষয়টি আপাতত কমিশনের অধীন।"
তৃণমূলের মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন মানসবাবু নিজে। তিনি বলেন, "দুদিন পরে ভোট, আমরা হঠাৎ অন্যদলের নেতাদের খুন করাতে যাব কেন। আমি খুন করেছি রাজ্যের মানুষ কখনও বিশ্বাস করবে?"
প্রথম দফার দ্বিতীয় পর্য়ায়ের নির্বাচনে সবং বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ আছে। তার আগে তৃণমূল কর্মী খুনের এই ঘটনা এলাকার ভোটের উত্তাপ যে আরও বাড়িয়ে দিল তা বলা যেতেই পারে।