'১২-১৪ পর পর মৃত্যু', আসানসোল কাণ্ডের পর শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারির দাবি কুণাল ঘোষের
'১২-১৪ পর পর মৃত্যু', আসানসোল কাণ্ডের পর শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারির দাবি কুণাল ঘোষের
'১২ ডিসেম্বর লালন শেখের রহস্য মৃত্যু। ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু। এবার আসছে ২১ ডিসেম্বর। সেটা নিয়ে আতঙ্কিত আমরা', এই নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারি দাবি করে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। গতকালের ঘটনার পরেই শুভেন্দু অধিকারীর ডিসেম্বর ডেডলাইন নিয়ে খোঁচা দিয়েছিলেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকীরার গ্রেফতারি দাবি
আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় ৩ জন পদপিষ্ট হয়ে মারা িগয়েছেন। এই ঘটনায় তদন্তদাবি করে শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারির দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেছেন এই ধরনের সভা অনুমতি ছাড়া করল কীভাবে বিজেপি। এবং সেই সভায় শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিতি নিেয় প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ। এই ঘটনায় অবিলম্বে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা উচিত বলে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
শুভেন্দুর ডিসেম্বর ডেডলাইনেই পর পর দুর্ঘটনা
ডিসেম্বর মাসের তিনটি ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ১২-১৪ আর একুশ। এর মধ্যে দুটি ডেডলাইন পার হয়ে গিয়েছে ১২ আর ১৪। ১২ তারিখে সিবিআই হেফাজতে রহস্যমৃত্যু হয়েছে লালন শেখের। তারপরেই ১৪ ডিসেম্বর। শুভেন্দুর সভাস্থলে পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন ৩ জন। তার মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। এবার সামনে ২১ ফেব্রুয়ারি। সেই দিন কী ঘটবে তা নিয়ে আশঙ্কায় আছি বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি তীব্র নিশানা করে বলেছেন এটাই কি ছিল শুভেন্দুর ডেডলাইন।
পুলিশি অনুমতি ছাড়াই সভা
পুলিশের অনুমতি ছাড়াই আসানসোলে বিশাল কম্বল বিতরণের আয়োজন করা হয়েছিল। বিজেপি নেতা জিতেন তিওয়ারি এবং তাঁর স্ত্রী বিজেপি কাউন্সিলর ছিলেন অনুষ্ঠানের আয়োজক। তাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল শুভেন্দু অদিকারীকে। প্রায় ৫০০০ জনকে কম্বল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী মঞ্চ ছাড়তেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কম জায়গায় বেশি লোকের জমায়েতের জেরে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জন মারা যান। আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। পুলিশের দাবি কোনও রকম অনুমতি না নিয়েই এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল।
চক্রান্ত দেখছে বিজেপি
এদিকে কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানে এই বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড়কে স্বাভাবিক ভাবে দেখছে না বিজেপি। ঘটনায় পুলিশ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের চক্রান্ত রয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। িবজেপি নেতা রাহুল সিনহা ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন। এদিকে জিতেন তিওয়ারি দাবি করেছেন তাঁরা পুলিশকে মেগা ইভেন্ট উল্লেখ করে চিঠি দিয়েছিলেন। যদিও পুলিশ দাবি করেছে পুলিশকে জানানো আর পুলিশের অনুমতি দেওয়া দুটো আলাদা জিনিস।
শুভেন্দুর রক্ষাকবচকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের, ফিরতে হল হাইকোর্টেই
Recommended Video