আসানসোলকে স্মার্ট সিটি হতে দেয়নি রাজ্য সরকার, ফিরহাদকে চিঠি জিতেন্দ্র তিওয়ারির
আসানসোলকে স্মার্ট সিটি হতে দেয়নি রাজ্য সরকার, ফিরহাদকে চিঠি জিতেন্দ্র তিওয়ারির
এবার বেসুরে আসানসোল পুরসভার প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আসানসোলকে স্মার্ট সিিট হতে দেয়বি রাজ্য সরকার অভিযোগ তুলে সরাসরি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি পাঠালেন ফিরহাদ হাকিম। তাতে সরাসরি তিনি অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রের অনুদান আটকেছে রাজ্য সরকার। স্মার্ট সিটি প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে ২ হাজার কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা হতে দেয়নি রাজ্য সরকার। প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
ফিরহাদকে চিঠি জিতেন্দ্র তিওয়ারির
আসানসোলের অনুন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি লিখলেন আসানসোল পুরসভার প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আানসোলকে স্মার্ট সিটি হতে না দেওয়ার জন্য সরাসরি রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। চূড়ান্ত বঞ্চনার শিকার হয়েছে আসানসোল। কেন্দ্রের অনুদান নিতে দেয়নি রাজ্য সরকার এমনও অভিযোগ করেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
কেন্দ্রের টাকা আটকেছেন মমতা
জিতেন্দ্র তিওয়ারি প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন, স্মার্ট সিটি প্রকল্পে আসানসোলকে বেছে নিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রের অনুদান নিতে দেয়নি রাজ্য সরকার। স্মার্ট সিটি প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে ২ হাজার কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার সেটা নিেত দেয়নি। তাক পরিবর্তে সম পরিমাণ টাকা দেবেন বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই টাকাও রাজ্য সরকার দেয়। যার জেরে আসানসোলের উন্নয়নের একাধিক প্রকল্প ঠান্ডা ঘরে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জিতেন।
বাবুলের অভিযোগ
মমতা সরকারের জন্যই চূড়ান্ত বঞ্চনার স্বাকীর আসানসোল। প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তিনি অভিযোগ করেছেন কেবল রাজনৈতিক কারণেই আসানসোলকে বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এর আগেও আসানসোলের উন্নয়ন নিয়ে সরব হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তখন জিতেন তিওয়ারি রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার বাবুলের সুরে সুর মেলাতে শুরু করেছেন জিতেনও।
ক্ষোভ বাড়ছে দলের অন্দরে
কয়েকদিন আগেই রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান নিয়ে রিপোর্ট কার্ড পেশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাতে রাজ্যের একাধিক উন্নয়নের খতিয়ান দেওয়া রয়েছে। তারমধ্যেই আসানসোলের উন্নয়ন নিয়ে দলেরই পুর প্রশাসকের এই বিস্ফোরক অভিযোগ অস্বস্তি বাড়িয়েছে শাসক দলের তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে জিতেন্দ্র তিওয়ারির প্রকাশ্যে এই বিদ্রোহকে সুনজরে দেখছে না রাজনৈতিক মহল।
বিক্ষোভকারীরা কৃষক নন, মোদী বিরোধী! দিল্লি সীমানার আন্দোলন ঘিরে চরমে বিতর্ক