পদ ছাড়তে দু'মিনিটও লাগবে না! মমতার সঙ্গে বৈঠকের আগে সুর চড়িয়ে আর যা বললেন জিতেন্দ্র
পদ ছাড়তে দু'মিনিটও লাগবে না! মমতার সঙ্গে বৈঠকের আগে সুর চড়িয়ে আর যা বললেন জিতেন্দ্র
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) সঙ্গে বৈঠকের আগে সুর চড়ালেন আসানসোলের প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। এদিন তিনি দলের শ্রমিক সংগঠনের মঞ্চ থেকে বলেন, ভয় দেখিয়ে তাঁকে আর আটকে রাখা যাবে না।
সংগঠনের বৈঠকে যোগ দিতে নিষেধ
এদিন আসানসোলে দলে শ্রমিক সংগঠনের বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূলের কোন সভা কিংবা শ্রমিক সংগঠনের বৈঠকে তাঁকে যোগ দিতে নিষেধ করা হয়েছে। তিনি এও জানান, এটাই হয়ত জেলা সভাপতি হিসেবে তাঁর শেষ বক্তব্য। দলের সঙ্গে মত বিরোধের জেরে তাঁকে পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর সঙ্গে তিনি জানান, তৃণমূল জেলা সভাপতি পদ ছাড়তে তিনি তৈরি। দল বললেই তিনি চলে যাবেন বলেও জানিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তবে জানান, মানুষের সঙ্গে থাকবেন।
ভয় দেখিয়ে রাখা যাবে না
জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, তাঁকে ভয় দেখিয়ে রাখা যাবে না। তাঁকে প্রতিশ্রুতি ও দায়বদ্ধতা পালন করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। প্রকাশ্যেই তিনি বলেন, একটা সময়ে গিয়ে তো সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। কার্যত তিনি বলেন, দল ছাড়লেও মানুষকে সঙ্গে নিয়েই থাকবেন। দলের নিষেধ সত্ত্বেও আসানসোলের গ্রাফাইট কারখানার মেন গেটের সামনে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন। সেই কারণে দল যদি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়, তার জন্য তিনি তৈরি বলেও জানিয়ে দেন। পদ ছাড়তে তাঁর দুমিনিটও সময় লাগবে না বলে জানিয়েদেন তিনি।
১৮ কলকাতায় হতে পারে বৈঠক
ইতিমধ্যেই জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে কথা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের। মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফর সেরে ফেরার পরে ১৮ ডিসেম্বর শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বৈঠক হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এদিন উত্তরবঙ্গ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ফোন করেন বলে জানা গিয়েছে।
তৃণমূলের সঙ্গে জিতেন্দ্রর সংঘাত
তৃণমূলের কাছে বেসুরো বেঁধেছিল আগেই। সোমবার ফিরহাদ হাকিমকে আসানসোলের উন্নয়ন নিয়ে চিঠি দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই। জিতেন্দ্র তিওয়ারি লিখেছিলেন, আসানসোল স্মার্ট সিটির তালিকায় এসেছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার রাজনৈতিক কারণে সেই প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছ থেকে বরাদ্দের দুই হাজার কোটি টাকা নেয়নি। জিতেন্দ্র তিওয়ারির এই চিঠি মেনে নিতে পারেননি ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছিলেন, এতে বিজেপির ইন্ধন রয়েছে। পুরমন্ত্রী বলেছিলেন, কারও যাওয়ার থাকলে সে চলে যেতে পারে। সেই সময় জিতেন্দ্র বলেছিলেন, বিজেপির সঙ্গে ওনার যোগাযোগ থাকতে পারে, তাঁর নয়। বিরোধী মেটাতে মঙ্গলবার কলকাতায় ফিরহাদ হাকিম এবং জিতেন্দ্র তিওয়ারির মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেন, তা শেষ পর্যন্ত হয়নি। জানা যায় জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছেন, তিনি কথা বললে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই কথা বলবেন।
দলের সঙ্গে শেষ বন্ধন ছিন্ন করলেন শুভেন্দু, নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা, সুগম হল বিজেপি গমন