তৃণমূল বনাম তৃণমূল হুলুস্থূল-কাণ্ড, ‘কেষ্ট’-র অনুগামীদের মারে মাথা ফাটল ‘নেতা’র
পঞ্চায়েতে যারা মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিলেন, ঘটা করে তাঁরা ফিরছেন মূলস্রোতে। আনন্দের এই অনুষ্ঠানে হঠাৎ ছন্দপতন। মঞ্চেই সম্মুখ সমরে দুই তৃণমূল। আদি বনাম নব্য দ্বন্দ্ব তো ছিলই।
পঞ্চায়েতে যারা মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিলেন, ঘটা করে তাঁরা ফিরছেন মূলস্রোতে। আনন্দের এই অনুষ্ঠানে হঠাৎ ছন্দপতন। মঞ্চেই সম্মুখ সমরে দুই তৃণমূল। আদি বনাম নব্য দ্বন্দ্ব তো ছিলই। এবার ফের সেই পুরনো ঝামেলা- মাদার বনাম যুব। তৃণমূলের মাদার সংগঠনের সঙ্গে যুব সংগঠনের লড়াইয়ে ধুন্ধুমার-কাণ্ড। মাথা ফাটল নেতার।
মঞ্চেই নেতা বনাম নেতা
অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন। কেউ নির্দল হয়ে পঞ্চায়েতে লড়াই দিয়েছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। লোকসভার আগে তাঁদেরই দলে যোগ দেওয়ানোর অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠান পরিচালনা করছিলেন যুব নেতা লুৎফার রহমান। হঠাৎই নির্দেশ এল কেষ্ট-দার। লুৎফারকে মাউথপিস রেখে বসার নির্দেশ দিলেন তিনি।
রণক্ষেত্র সভাস্থল
কেন হঠাৎ এমন নির্দেশ জলপাইগুড়ির কেষ্টদা কৃষ্ণ দাসের। তাঁর সাফ কথা, অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি আমি। আমার কথা মতো চলবে অনুষ্ঠান। তাঁর অন্যথা হবে না। মঞ্চেই শুরু হয়ে যায় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। হুলুস্থূল পড়ে যায় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা মধ্যে। লাঠি, ধরালো অস্ত্র নিয়ে একেবারে রণক্ষেত্র অবস্থা।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূল
একদিকে তৃণমূলের মাদার সংগঠনের নেতা-কর্মীরা, অন্যদিকে যুব সংগঠনের নেতারা। এই ঘটনায় মাথা ফাটল যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির। তাঁকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকেই জখম হয়েছেন। জলপাইগুড়ি স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের। এই ঘটনায় কৃষ্ণ দাস-সহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিষেকের কাছে নালিশ
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই মর্মে অভিযোগ জানানো হবে বলে জনিয়েছেন জলপাইগুড়ি যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে, কোথা তেকে আগ্নয়াস্ত্র আসছে, ধারালো অস্ত্র আসছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরনোদের নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন, পুরনোদের দলে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন, তারপরও এ ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য এদিন ৪৫০ জন পুরনো তৃণমূলকর্মী তৃণমূলে ফেরেন।