রাস্তায় ঘিরে পর পর গুলি, ঝাঁঝরা হয়ে গেলেন তৃণমূল নেতা, বদলার খুন উলুবেড়িয়ায়
আবারও প্রকাশ্য রাস্তায় শুট-আউট। দুষ্কৃতীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেলেন তৃণমূল নেতা ইমতিয়াজ আলি। স্ত্রীর সঙ্গে মার্কেটে বেরিয়েছিলেন। তবু রেয়াত করেনি দুষ্কৃতীরা।
আবারও প্রকাশ্য রাস্তায় শুট-আউট। দুষ্কৃতীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেলেন তৃণমূল নেতা ইমতিয়াজ আলি। স্ত্রীর সঙ্গে মার্কেটে বেরিয়েছিলেন। তবু রেয়াত করেনি দুষ্কৃতীরা। সুযোগ বুঝে পর পর তিনটি গুলি ছুটে এল। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন তৃণমূল নেতা। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হল না।
মঙ্গলবার রাতে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় বাহির গঙ্গারামপুরে খুন হলেন বছর ৪৫-এর তৃণমূল নেতা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্থানীয় বাজারে যাচ্ছিলেন মাংস কিনতে। তখনই তিন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে। ইমতিয়াজকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি ছোঁড়ে তারা। ফলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি গুলি। গুলি চালিয়েই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে গেলে ইমতিয়াজকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন:২০১৯ লোকসভা ভোটে বৈতরণী পার করতে গ্রামে গ্রামে রাত কাটাবেন বিজেপি নেতারা]
হাওড়ার দ্বীপাঞ্চল ভাটোরার বাসিন্দা ইমতিয়াজ। সম্প্রতি উলুবেড়িয়ায় থাকছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে লালচাঁদ ও মন্মথকে খুনের অভিযোগ রয়েছে। লালচাঁদ ও মন্মথও তৃণমূল করত। গত বছর ওই খুনের ঘটনা ঘটেছিল ভাটোরায়। তারপর ইমতিয়াজ গ্রেফতারও হয়েছিল। দিন ১৫ আগে ইমতিয়াজ জামিন পান। কিন্তু ভাটোরা না গিয়ে উলুবেড়িয়ার বাহির গঙ্গারামপুরে ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন।
[আরও পড়ুন:লোকসভায় লড়াইয়ে ঋতব্রত-চন্দ্র-বিকাশ! বঙ্গে ৪২-এর তালিকা নিয়ে শুরু জল্পনা]
পুলিশ জানিয়েছে, এই খুনের পিছনে রয়েছে পুরনো শত্রুতা। ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরেই এই খুন করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এক বছর আগে ভাটোরায় খুনের বদলায় এই খুন হতে পারে। প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এই খুন করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন:মধ্যপ্রদেশে বিজেপিকে উৎখাতের ডাক দলেরই নেতা 'কম্পিউটার বাবা'-র]