‘কাঁচা করলা’র বদলায় ‘সার্কাসের জোকার’ তকমা, সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ দিলীপ-গৌতম
বিজয়োৎসবের মিষ্টির বদলে ‘কাঁচা করলা’ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার সেই পরামর্শদানের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে পাল্টা দিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব।
বিজয়োৎসবের মিষ্টির বদলে 'কাঁচা করলা' খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার সেই পরামর্শদানের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে পাল্টা দিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে 'সার্কাসের জোকার' বলে কটাক্ষ করলেন।
জলপাইগুড়িতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এসে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব কড়া জবাব দিয়ে বলেন, বিরোধী দলগুলি প্রার্থী দিতে পারেনি, সেটা তাঁদের ব্যর্থতা। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস বা নির্বাচন কমিশনের কিছু করার থাকতে পারে না। দিলীপ ঘোষরা এই পরিপ্রেক্ষিতে যা করছেন, তা সার্কাসের জোকাররাই করে থাকেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ই-মনোনয়নের স্বীকৃতির উপর স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতীয় জয়ী প্রার্থীদের শংসাপত্র প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাঁরা মিষ্টি মুখ করেছেন, এবার তাঁদের কাঁচা করলা খেতে হবে। এদিন এই কটাক্ষেরই তীব্র জবাব দেন গৌতম দেব।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের শংসাপত্র প্রদান ও এত সংখ্যক আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের ফলে সু্প্রিম কোর্টের ভর্ৎসনা পর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নানা ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বিরোধীরাও সুযোগ পেয়ে শাসক তৃণমূলকে কটাক্ষ করছে ছাড়েনি। সেই কটাক্ষের জবাব দিতেও আসরে নামেন তৃণমূল নেতারা। একদিকে অনুব্রত মণ্ডল কবি শঙ্খ ঘোষের কবিতার জবাব দিচ্ছেন, তখন গৌতম দেব বেছে নিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে।