বাম জমানার সোনালীর স্মৃতি ফেরত আনলেন বর্ধমানের তৃণমূল নেত্রী! অনুব্রতকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিতর্কে
বাম জমানায় নোদাখালি থানার অফিসারকে শাঁসানোর ছবি মনে করালেন পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার তৃণমূল নেত্রী মল্লিকা চোঙদার।
বাম জমানায় নোদাখালি থানার অফিসারকে তৃণমূল নেত্রী সোনালীর শাঁসানোর ছবি মনে করালেন পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার তৃণমূল নেত্রী মল্লিকা চোঙদার। গুসকড়া থানায় ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা অফিসারকে সিপিএম এবং বিজেপির দালাল বলে আক্রমণ করেন তিনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই নেত্রীর মন্তব্য গুরুত্ব দিতে রাজি নন এলাকায় সংগঠনের দায়িত্বে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের শিবির।
নোদাখালি পুলিশ অফিসারকে শাঁসানি সোনালীর
সময়টা বাম জমানার শেষ পর্যায়ে। সেই সময় সাতগাছিয়ায় বিধায়ক তৃণমূল নেত্রী সোনালী গুহকে দেখা গিয়েছিল নোদাখালি থানার ভিতরে ঢুকে আইসিকে হুমকি দিতে, জিভ ছিঁড়ে নেব। সঙ্গে ছিল হুঁশিয়ারির নানা কথা।
এবার তৃণমূল জমানাতেই হুঁশিয়ারি গুসকরার নেত্রীর
সময় বদলে গিয়েছে। তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছেন ৮ বছরের বেশি সময়। সেই অবস্থায় পুলিশকে ধমকানোর অভিযোগ উঠল গুসকলার তৃণমূল নেত্রী তথা পুরসঙার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান মল্লিকা চোঙদারের বিরুদ্ধে। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, তিনি আউশগ্রাম থানার গুসকরার পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা অফিসার স্নেহময় চক্রবর্তীকে হুমকি দিচ্ছেন। তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, আপনি সিপিএম এবং বিজেপির দালাল। কালীপুজোয় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বচসার জেরে গণ্ডগোলের সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে।
আক্রমণ অনুব্রত মণ্ডলকেও
সাংগঠনিকভাবে গুসকরা তথা পূর্ব বর্ধমান এলাকা অনুব্রত মণ্ডলের অধীনে। তাঁকেও আক্রমণ করতে শোনা গিয়েছে মল্লিকা চোঙদারকে। তিনি ওই পুলিশ অফিসারকে বলছেন, কেষ্ট মণ্ডল পুষে রেখেছে বলেই ওই অফিসারের বাড়বাড়ন্ত।
অনুব্রত গোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া
সূত্রের খবর অনুযাযী, এর আগে অনুব্রত মণ্ডলকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ওই নেত্রীকে সরিয়ে দিতে। কেননা তিনি নাকি বিজেপি হয়ে গিয়েছেন। এবার পুলিশকে শাঁসানোর প্রেক্ষিতে অনুব্রত শিবির বলছে, ওই পুলিশ অফিসার বেশ কড়া। দুর্নীতি বন্ধ করতেই ক্ষোভের বহিপ্রকাশ।
অভিযুক্ত নেত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
নেত্রী পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিলেও, প্রশাসন কিংবা দল কারও তরফ থেকে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।