অধীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার! হঠাৎ কংগ্রেস অফিসে প্রবেশে জল্পনা
তৃণমূল কংগ্রেসে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তবে ২০২১-এর আগে শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে তিনি আবার সক্রিয় হতে শুরু করেন। সেই তিনি হঠাৎই কংগ্রেস অফিসে প্রবেশ করলেন। দেখা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে। দীর্ঘদিন পর তাঁর কংগ্রেস শিবিরে আসা এবং অধীর চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হল তীব্র জল্পনা।

কংগ্রেস অফিসে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তৃণমূল নেতা
যাঁকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন বহরমপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন কংগ্রেসি নীলরতন আঢ্য। পরে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু তৃণমূলে গিয়ে তিনি তলে যান ব্রাত্যের তালিকায়। তাঁকেই দেখা গেল কংগ্রেস অফিসে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে।

অধীরবাবুর গাড়ি দেখেই সোজা কংগ্রেস অফিসে তৃণমূল নেতা
বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস অফিসে অধীর চৌধুরী কথা বলেন তৃণমূল নেতা নীলরতন আঢ্যর সঙ্গে। এই সাক্ষাতের পর তিনি জানান, কোনও রাজনৈতিক বিষয়ে কথা হয়নি। কথা হয়নি দলবদল নিয়ে। সম্প্রতি এক বিযের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় তিনি অধীরবাবুর গাড়ি দেখতে পান। তারপরই অধীরবাবু কেমন আছেন- খোঁজ নিতে তিনি আসেন কংগ্রেস অফিসে।

সক্রিয় হওয়ার পরও পদ অমিল, অধীর-সাক্ষাতে জল্পনা
নীলরতনবাবু যা-ই বলুন না কেন, অধীর চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর জেলাজুড়়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, নীলরতনবাবুর কংগ্রেসে ফেরা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। দীর্ঘদিন নিস্ক্রিয় থাকার পর তিনি সক্রিয় হয়েছিলেন তৃণমূলে। শর্ত ছিল তাঁরে পুর প্রশাসক পদ দিতে হবে। কিন্তু সক্রিয় হওয়ার পরও সেই পদ অমিল থেকেছে।
৪

অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তৃণমূল নেতার সাক্ষাৎ তাৎপর্যপূর্ণ
তৃণমূল কংগ্রেস সম্প্রতি বঙ্গধ্বনি কর্মসূচির প্রচার শুরু করেছিল। কিন্তু তিনি দলের বৈঠকে ডাক পাননি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকেও তিনি অবহেলিত ছিলেন। জেলা সভাপতি তাঁকে ডাকেননি বলে জানান নীলরতনবাবু। এরপর তাঁর কংগ্রেস অফিসে যাওয়া অধীর চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

‘আমাকে তো আমার রাস্তা বেছে নিতে হবে!’
নীলরতনবাবু বলেন, দল আমাকে ডাকছে না। আমি আমার মতো করে মানুষজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। স্থানীয় নেতারা আমাকে গুরুত্ব না দিলে আমাকে তো আমার রাস্তা বেছে নিতে হবে। এ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি বলেন, নীলরতনবাবু দায়িত্ববান নেতা। কিন্তু তিনি দলের কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক করছেন না। কেউ যদি দলে থাকতে না চান, তাঁকে নিয়ে দলের কিছু করার থাকে না।

বামদূর্গ কেরলে হিন্দু বাদে কোন ভোটব্যাঙ্ককে অস্ত্র করছে বিজেপি! ২০২১ ভোটের আগে একনজরে স্ট্র্যাটেজি