
'১০ মিনিটে কাছে থাকা বোমা-গুলি দিয়ে গ্রাম উড়ে যাবে', বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা
রামপুরহাটের ঘটনায় রীতিমত মুখ পুড়েছে শাসকদল তৃণমূলের! একাধিক নেতার নাম সামনে এসেছে। এমনকি সম্প্রতি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হেনস্তা করা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে।[ আর এই অবস্থায় ফের একবার অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূল কংগ্রেসের।
বোমা-বন্দুক দিয়ে গ্রাম উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি তৃণমূল নেতার। আর সেই ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল। আর তা ভাইরাল হতেই চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া'র। যে তৃণমূল নেতার হুমকি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তিনি চোপড়া ব্লকের হাপতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাকির আহমেদ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয়ে সাকিবকে একটি ঘরোয়া বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে। চারপাশে তাঁকে ঘিরে অসংখ্য স্রোতা।
আর সেখানেই তৃণমূল নেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, বোমা-বন্দুক এখন সাধারণ ব্যাপার। এত বোমা-বন্দুক তার কাছে রয়েছে ফতেয়াবাদ গ্রামের সব বাড়ি-ঘর ভাঙতে ১০ মিনিটও সময় লাগবে না।
রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে যখন চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল সরকার। ঠিক সেই সময়ে তৃণমূল নেতার এহেন হুঁশিয়ারি নিঃসন্দেহে চাপ বাড়বে শাসকদলের। যদিও এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাহের আহমেদ। তিনি বলেন, ওনার কাছে যখন আছে তাহলে ওনাকে পুলিশের গ্রেফতার করা উচিৎ। পাশাপাশি কুণাল ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, আমরা মানুষের ভোটে জয় পেয়েছি। উন্নয়নের নিরিখে মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছে। সুতরাং উত্তেজনার বশে এহেন মন্তব্য করে দলের ক্ষতি না করার বার্তা দেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ।
অন্যদিকে এহেন ভিডিও সামনে আসতেই শাসকদলকে একহাত নিয়েছেন বিরোধীরা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, বাংলায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। তৃণমূলের নেতারা প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এটাই তার প্রমাণ বলে দাবি বিজেপি নেতার।
পাশাপাশি একজন তৃণমূলের উপপ্রধান হয়ে কীভাবে এহেন হুঁশিয়ারি দিতে পারেন তা নিয়েও প্রশ্ন রাহুল সিনহার। অবিলম্বে ওই নেতাকে গ্রেফতার করা উচিৎ বলে দাবি তাঁর।
কার্যত এই বিষয়ে সুর চড়িয়েছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। এরাই তৃণমূলের সম্পদ বলে কটাক্ষ তাঁর। শুধু তাই নয়, সুজন চক্রবর্তী আরও বলেন, এরা মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী রামপুরহাটের ঘটনার পরেই বাংলা জুড়ে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দেন। কিন্তু আদৌতে কি সঠিক জায়গাতে হানা দিচ্ছে পুলিশ? এই ঘটনার পরে এই প্রশ্নটাই উঠতে শুরু করেছে।
তৃণমূল নেতার ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি'র সত্যতা যাচাই করেনি ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা।