ফের পূর্ব মেদিনীপুরে কুপিয়ে খুন তৃণমূল নেতা
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ফের খুন হলেন এক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। সোমবার ময়না থানার আন্দারিয়া এলাকায় কুপিয়ে ও মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে বছর বাহান্নর বসুদেব বেরাকে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ফের খুন হলেন এক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। সোমবার ময়না থানার আন্দারিয়া এলাকায় কুপিয়ে ও মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে বছর বাহান্নর বসুদেব বেরাকে। তার বাড়ি ময়না থানার বাকচার বরুনা গ্রামে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বসুদেব বেরাকে। একই অভিযোগ মৃতের স্ত্রী খুকুমনি বেরার। এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি।
তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অতীশ বিশ্বাস জানিয়েছেন যে তারা তদন্ত শুরু করেছেন ও দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।
এদিন সন্ধ্যায় এই এলাকায় যান এলাকার সাংসদ, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা দিব্যেন্দু অধিকারী। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার লোকজন।
খুকুমনির দাবি দিন কয়েক আগে বিজেপির লোকজন তার স্বামীকে হুমকি দেয়। এদিন সকালে তার মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন তার স্বামী। ফেরার সময় তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। বিজেপির লোকজন এই খুনের পেছনে আছে।
একই দাবি করেন দিব্যেন্দু অধিকারী। "বিজেপি ছাড়া আর কে খুন করবে? আমি নিশ্চিত যে এই খুনের পেছনে আছে বিজেপি। বিজেপি খুনের রাজনীতি করছে। বাকচা এলাকার অনেক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক বিজেপির অত্যাচারে ঘরছাড়া।"
এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি নেতা নারায়ণ নায়েক বলেন, বিজেপির লোকজন এই খুনের সাথে জড়িত না। অনেক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার মতো মানুষের কাছে থেকে টাকা নিয়েছিল বসুদেব। এই দিন এই সব লোকজন তাকে দেখতে পেয়ে টাকা চায় ও এই নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। সেই সময়ে এই লোকজন তাকে মারধর করে। কিন্তু এই লোকজন কেউ বিজেপির নয়।
উল্লেখ্য নবমীর রাতে এই জেলার পাঁশকুড়া এলাকায় খুন হন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুরবান আলি শা। একটি দলীয় কার্যালয়ে বসে ছিলেন তিনি। সেই সময়ে দুষ্কৃতীরা ঢুকে গুলি করে তাকে। এই খুনের পেছনে আছে বিজেপি বলে অভিযোগ জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। তদন্ত শুরু করে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে। যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী।