এবার ময়ূরেশ্বর, গলার নলি কেটে খুন করা হল তৃণমূল নেতাকে
বিষ্ণুপুর ও আমতার পর ফের একই কায়দায় খুন হলেন তৃণমূল নেতা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা— কী কারণে খুন হলেন বীরভূমের প্রভাবশালী এই নেতা?
একই কায়দায় ফের তৃণমূল নেতা খুন। এবার ঘটনাস্থল বীরভূমের ময়ুরেশ্বর। ময়ুরেশ্বরে বুদিগ্রামে বাড়ির কাছ থেকেই তৃণমূল নেতার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় শনিবার সকালে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আসগর আলি। তিনি শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন। সকালে স্থানীয়রাই তাঁর দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। আসগরের গলার নলি কাটা ছিল। কী কারণে এই খুন তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এই হত্যাকাণ্ডের পর এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের তিন প্রান্তে খুন হলেন তিনজন তৃণমূল নেতা। পঞ্চায়েত ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এলাকা। হিংসার রাজনীতি বাড়ছে। শাসকদেলর নেতা খুনের ঘটনায় অনেকক্ষেত্রেই নাম জড়াচ্ছে দলেরই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। প্রশাসনের কাছে মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে এ ধরনের ঘটনা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর, হাওড়ার আমতার পর বীরভূমের ময়ূরেশ্বর। বুদিগ্রামের এই নেতার খোঁজ মিলছিল না শুক্রবার সকাল থেকে। রাতে থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও হয়। মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান তাঁর অনুগামীরা। এই ঘটনায় অভিযোগের তির বিরোধীদের দিকে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এই হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ।
অসগরের গলায় ক্ষত ছাড়া আর কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তা থেকে মনে হয়েছিল এটা ছিনতাইয়ের ঘটনা হতে পারে। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি পরিকল্পিত খুনই। তবে রাজৈনিতক আক্রোশে এই খুন? নাকি এর মধ্যে কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা লুকিয়ে রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।