তেহট্টে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা , বাড়ির ফেরার পথে আক্রমণ তিন দুষ্কৃতীর
তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি গুলিবিদ্ধ হলেন নদিয়ার তেহট্টে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রাক্তন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির নাম আজিজুল শেখ। তিনি কানাইনগরের দায়িত্বে ছিলেন। আজিজুল বাইকে চড়ে গতকাল রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ তিনি তখন বিনোদনগর হাইস্কুলের কাছে ছিলেন। তার উপর চড়াও হয় ৩ জন দুষ্কৃতী। এরপর বাইক থামিয়ে তাঁকে গুলি করা হয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা চিকিত্সাধীন শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল ? এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক না কি কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে তেহট্ট থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত চলতি বছরের মার্চ মাসেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তবে সেক্ষেত্রে মারা গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। সেবার নদীয়া জেলায় স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) নেতাকে গুলি করা হয়।
তার আগেই বীরভূম জেলায় বোমা হামলায় টিএমসি পঞ্চায়েত নেতা নিহত হয়। এর মাত্র দু'দিন পরে নদীয়ার ঘটনা ঘটে। বীরভূমে টিএমসি পঞ্চায়েত নেতা মারা যাবার পরের ঘটনা ছিল আরও ভয়ঙ্কর। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িতে। ঘটনায় বেঘোরে প্রাণ যায় ছয় মহিলা এবং দুই শিশু সহ আটজন । ওই ঘটনা ছিল বগটুই গ্রামের। সেই সময় রামপুরহাট মহকুমার হাসপাতালে ভর্তি নাজেমা বিবি বলেছিলেন, বাড়ির মহিলারা ভিতরেই ছিলেন। সময় তখন রাত নটা। তবে সামনে দোকান খোলা ছিল। কিন্তু বোমা পড়তে দেখে দোকানের শাটার নামিয়ে দেন, গ্রিলের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। সেই সময় হামলাকারীরা পেট্রোল দিয়ে পুরো বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই সময় মহিলা ও শিশু মিলিয়ে বাড়িতে ১০ জন ছিলেন বলে জানিয়েছেন নাজেমা বিবি। এর মধ্যে দুটি শিশুও ছিল। ভাদু শেখের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের যে ভাব ছিল না তা স্পষ্ট করেই জানিয়েছিলেন নাজেমা বিবি।
নদীয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে পু্লিশ জানিয়েছিল নিহত সহদেব মন্ডল রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। তাঁর মাথায় গুলি লাগে। তাঁকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেখান থেকে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর স্ত্রী অনিমা মণ্ডল নদিয়ার হাঁসখালির পঞ্চায়েত সদস্য। স্থানীয়রা জানান, তারা গুলির শব্দ শুনে বেরিয়ে আসেন। এসে দেখেন যে সহদেব মন্ডল রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন। তারা মোটরসাইকেল দুজনকে চলে যেতে দেখেন।