আমি এদল-ওদল-সেদল করি না, সৌমিত্রকে বিঁধে কোন ইঙ্গিত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরূপ রায়ের
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরূপ রায় বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ। তাতে একেবারে রেগে আগুন অরূপ রায়। পাল্টা আক্রমণে বিঁধলেন বিজেপি নেতাকে। তৃণমূল নেতা সৌমিত্রকে বিঁধে বলেছেন আমি এদল, ওদল, সেদল করিনা। প্রথম থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস করতার, আজও করি, ভবিষ্যতেও তৃণমূল কংগ্রেসই করব। বিজেপির নীতির সঙ্গে আমার নীতি মেলে না। দল বদলের জল্পনা একেবারে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।


সৌমিত্র খাঁর দাবি
গতকালই বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ দাবি করেছিলেনম হাওড়ার দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সৌমিত্র খাঁ নাকি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তার পরেই জল্পনার পারদ চড়তে শুরু করে। তাহলে কী ফের তৃণমূলে বড় ভাঙন ঘটতে শুরু করেছে। কারণ শুভেন্দুর পদ্ম ফোটানোর দাবির পরেই সৌমেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। অরূপ রায়ও সেই শুভেন্দু গামী হতে পারেন এ জল্পনা অমূলক ছিল না।

অরূপের পাল্টা দাবি
সৌমিত্র খাঁর দাবি যখন দাবানলের মতো রাজনৈতিক মহলে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে তখন বাধ্য হয়েই জল্পনা নিরসনে অবতীর্ণ হন অরূপ রায়। হাওড়ায় একচেটিয়া ক্ষমতা ধরে রাখা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পাল্টা সৌমিত্রকে আক্রমণ করেছেন। তিনি সৌমিত্রকে কটাক্ষ করে বলেছেন, 'আমি এদল-ওদল-সেদল করি না। সৌমিত্রর মতো কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সেখান থেকে বিজেপি এভাবে দলবদলের অভ্যাস আমার নেই। ১৯৯৭ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করছি। হাওড়ায় দলটাকে সন্তানের মতো বড় করে তুলেছি। আদর্শ নিয়ে কাজ করি। বিজেপির আদর্শের সঙ্গে আমার আদর্শ মেলে না।' প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে অর্জুন সিং দাবি করেছিলেন সৌগত রায় বিজেপিতে যোগ দেবেন।

শুভেন্দুর পথে সৌমেন্দু
খড়দহের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন তাঁর ঘরেও পদ্ম ফুটবে। রাম নবমী এখনও দেরি আছে। ঠিক তার পরেই সৌমেন্দু অধিকারীকে কাঁথির পুর প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তার পরেই শোনা যাচ্ছে শুভেন্দুর সভাতেই নাকি বিজেপিতে যোগ দেবেন সৌমেন্দু। এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে সাংসদ দিব্যেন্দু আর শিশির অধিকারীও কি সেই পথেই হাঁটতে শুরু করবেন। শুভেন্দু এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ার করে বলেছেন হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটেও পদ্ম ফোটাবেন তিনি।

হাওড়ায় দাপট কমেছে অরূপের
হাওড়ায় অরূপ রায়ের সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাদ নতুন কোনও ঘটনা নয়। সেকারণেই হাওড়া জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অরূপ রায়কে। এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যকমিটিতে তুলে আনা হয়। হাওড়ার জেলা সভাপতি পদে বসানো হয় লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে। রাজীবের সঙ্গে অরূেপর বিবাদের কারণেই অরূপ রায় ক্রমণ কোণ ঠাসা হয়ে গিয়েছেন দলে। এদিকে প্রকাশ্যে দলের তোষামদি নিয়ে মন্তব্য করায় রাজীবের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা পারদ চড়তে শুরু করে।
বাঙালির মন জয়ে গেরুয়া শিবিরের 'বুদ্ধিজীবী সেল', একুশের আগে মাস্টারস্ট্রোক বিজেপির
{quiz_463}