অনুপমের মাছ-ভাত বিতর্কে সাফাইয়ের পর বীরভূম থেকে পাল্টা জবাব অনুব্রতর
ভারতীয় রাজনীতিতে সাম্প্রতিককালে কর্ণাটকের প্রেক্ষাপটে 'রিসর্ট রাজনীতি'র প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। আর বাংলায় লালমাটিতে লোকসভা তপ্ত পরিস্থিতিতে 'মাছ-ভাত'-এর রাজনীতি হত ২৪ ঘণ্টায় বেশ প্রাসঙ্গিক হয়েছে।
ভারতীয় রাজনীতিতে সাম্প্রতিককালে কর্ণাটকের প্রেক্ষাপটে 'রিসর্ট রাজনীতি'র প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। আর বাংলায় লালমাটিতে লোকসভা তপ্ত পরিস্থিতিতে 'মাছ-ভাত'-এর রাজনীতি হত ২৪ ঘণ্টায় বেশ প্রাসঙ্গিক হয়েছে। রাঢ়বাংলার দাপুটে তৃণমূল নেতা কেষ্ট মণ্ডলের বাড়িতে সদ্য বিজেপিতে পা রাখা অনুপম হাজরার প্রবেশ একাধকি জল্পনার জন্ম দিয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে মিডিয়াকে দায়ী করেছেন অনুপম। পাশাপাশি তাঁর দাবি অনুব্রত মণ্ডলের মায়ের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আর তাঁর 'কেষ্ট কাকু' অনুব্রত মণ্ডল কী বললেন দেখে নেওয়া যাক।
অনুব্রতর দাবি
ঘাস হোক বা পদ্ম, 'ফুল' যুদ্ধে বাংলা যখন তপ্ত তখন সোজা ভোটের দিন বীরভূমে অনুব্রতর ডেরায় চলে গিয়েছিলেন অনুপম। সেই ঘটনা নিয়ে অনুপমের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, 'আমি কোন মিডিয়াকে ডাকিনি। আমাকে তো সকাল থেকেই নজরবন্দি করে রাখা হয়েছিল। মিডিয়ার লোকজনও সকাল থেকেই এখানে ছিল'।
'ভোগের প্রসাদ' নাকি 'মাছ-ভাত'?
এদিন বিজেপির তরফে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে মুকুল রায়কে পাশে নিয়ে অনুপম বলেন অনুব্রত মণ্ডলের অফিসে গিয়ে তিনি মাছভাত খেয়েছেন নাকি তা ভোগের প্রসাদ ছিল তা ভালো করে খতিয়ে দেখা হোক। তবে বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে এদিন অনুব্রত মণ্ডল বলেন,'কেউ কারো বাড়ি এলে তাঁকে খাবার দেওয়া আমাদের কালচার। ওকে খেতে বলে কোন অন্যায় করিনি। আমাদের এখানে রান্না হয়েছিল। ও পোস্ত খেতে ভালোবাসে। ভাত, আলু পোস্ত, বাটা মাছের ঝাল, মাছের টক হয়েছিল। খেতে বলেছিলাম কারণ, ও কিছু না খেয়ে এখানে এসেছিল' ।
অনুপমকে জবাব অনুব্রতর
অনুব্রতর
মণ্ডলের
মায়ের
মৃত্যুর
খবর
শুনে
অনুপম
কেবলমাত্র
সৌজন্যের
জন্য
বীরভূমের
তৃণমূল
সভাপতির
সঙ্গে
দেখা
করতে
যান
বলে
এদিন
জানিয়েছেন।
যার
প্রেক্ষিতে
অনুব্রত
মণ্ডল
বলেন
,'
ও
কী
বলেছে
জানিনা।
তবে
ওকে
আমি
বলেছি
যাদবপুরে
জিততে
পারবি
না।
দিদিকে
বলে
রাজ্যসভায়
পাঠাব।
দিদিকে
আমি
বললে
না
বলবেন
না।
কারণ
আমি
কারোর
নাম
বললে
দিদি
সেই
নাম
কাটে
না।
অনুপমকে
ফিরিয়ে
নাও
বললে
দিদি
না
বলবে
না।'