'খেলা' শুরু করে দিলেন অনুব্রত! দলীয় নেতা খুনে বিজেপিকে 'চরম' হুঁশিয়ারি
খেলা শুরু করে দিলেন অনুব্রত! দলীয় নেতা খুনে বিজেপিকে 'চরম' হুঁশিয়ারি
মঙ্গলকোটে দলীয় নেতা খুন নিয়ে বিজেপিকে (bjp) নিশানা করলেন এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত বীরভূম জেলা তৃণমূল (trinamool congress) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (anubrata mondal)। এই মধ্যেই এই ঘটনায় ৫ বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও মূল অভিযুক্ত শিশির ঘোষকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন খুন তৃণমূল নেতা
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন মঙ্গলকোটে খুন তৃণমূলের মঙ্গলকোট ১৯৭ নম্বর বুথের সভাপতি সঞ্জিত ঘোষ। মৃতের বাবার সাগর ঘোষের অভিযোগ বিজেপির সাংগঠনিক কাটোয়া জেলার সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে তাঁর ছেলেকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কার্যালয় থেকে বাইকে বাড়ি ফেরার সময় সঙ্গে ছিলেন ব্লক তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ইব্রাহিম শেখ। গ্রামে ঢএাকার মুখেই বাইক আটকানোর পরে সঞ্জিতকে ব্যাপক মারধর করা হয়। কালনা হাসপাতালের পরে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় সঞ্জিত ঘোষের। স্থানীয় তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, সোমবার নিগন গ্রামে সভা করেছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত শিশির ঘোষ, বোবোল ঘোষ-সহ অনেকেই। সেখানে উস্কানিমূলক কথা বলা হয় বলে অভিযোগ। মৃতের বাবা দাবি করেছেন, এলাকায বিজেপির সংগঠন কমজোরি হচ্ছিল। অনেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে যাচ্ছিলেন। সেই কারণেই এই খুন।
পাল্টা দাবি বিজেপির
তবে তৃণমূলের পাল্টা বিজেপির দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই খুন। বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ দাবি করেছেন সঞ্জিত ঘোষ পরিচিত সমাজবিরোধী। এলাকায় মানুষের ওপরে অত্যাচার করতেন। পাল্টা তৃণমূলের দাবি সঞ্জিত ঘোষের সঙ্গে ঝামেলা থানা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। বিজেপি খুনের রাজনীতি করে এলাকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী।
বিজেপিকে হুঁশিয়ারি অনুব্রত
এদিন এই খুন সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, বিজেপি সন্ত্রাস শুরু করলে তাঁর থেকে ভয়ঙ্কর কেউ হবে না। যারা সন্ত্রাস করবে তাদের ঘর থেকে বেরনো বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদেরও গ্রামছাড়া করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি শুক্রবার মৃত সঞ্জিত ঘোষের বাড়িতে যাবেন।
ভোটে ভয়ঙ্কর খেলার হুঁশিয়ারি
দিন কয়েক আগে মল্লারপুরের সভায় অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন ভোটে ভয়ঙ্কর খেলা হবে। হেঁয়ালির সুরে তাঁকে বলতে শোনা যায়, অনেক ধরনের খেলা আছে। তিনি বলেছিলেন ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বল লেগে আঘাত লাগে, ফুটবল খেলতে গিয়ে লেগে যায়, আবার হাডুডু খেলতে গিয়েও লেগে যায়।
লালকেল্লাকাণ্ডের পর কৃষক আন্দোলন নিয়ে কোন সুর বামেদের কণ্ঠে! অধীর তুললেন একাধিক প্রশ্ন