যে হরিদাস পালই হোক কাউকে পরোয়া করেন না অনুব্রত, এবার কাদের বার্তা
একদিন আগেই বিরোধীদের চোখ তুলে নিয়ে পাথরের চোখ বসিয়ে দেওয়ার নিদান দিয়েছিলেন অনুব্রত। এবার বার্তা কলকাতা-দিল্লির হরিদাস পালদের।
অনুব্রত মণ্ডল হুঙ্কার অব্যাহতই। রবিবার ফের বীরভূমের সাঁইথিয়ার এক দলীয় সভা থেকে তিনি হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধীদের। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, 'উন্নয়নে বাধা দিলে তছনছ করে দেব। সে যে হরিদাস পালই হোক, কলকাতারই হোক বা দিল্লির। কারও বাড়াবাড়ি সহ্য করব না।'
একদিন আগেই বিরোধীদের চোখ তুলে নিয়ে পাথরের চোখ বসিয়ে দেওয়ার নিদান দিয়েছিলেন অনুব্রত। বিরোধীদের চোখ অপারেশন করিয়ে দেওয়ার পর এদিন তাঁর হুঙ্কার, 'দাঁত খিঁচোবেন না, চোখ রাঙাবেন না, তোলপাড় করে দেব। মানুষের উন্নয়নে বাধা দিলে কাউকে ছাড়ব না।'
শনিবার মহম্মদবাজারের কর্মিসভার পর, রবিবার সাঁইথিয়ার জনসভা। এদিন এখানেই প্রথমে বাম আমলের হত্যালীলার হিসাব তুলে ধরেন তিনি। তারপর বলেন, 'তৃণমূলের আমলে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি, খুন হয়নি। শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন হচ্ছে। সেই কাজে বাধা দিলে যা করার তাই করব। আমার যা করার করে নিন, ভয় পাই না কিছুতেই।
এরপরই অনুব্রত বলেন, 'মৃত্যুর ভয় নেই আমার। এই সাঁইথিয়াতেই আমাকে লক্ষ্য করে চারবার গুলি চালিয়েছিল। তাতেও আমি মরিনি। ঈশ্বর-আল্লা আমার সঙ্গে আছেন। আমাকে কেউ মারতে পারবে না। মারার ক্ষমতা একমাত্র আল্লা-ঈশ্বরের হাতে। ওপরওয়ালা যেদিন বলবেন সেদিন চলে যাব, আপনাদের হাতে আমি যাব না।'
[আরও পড়ুন : তৃণমূলের কেষ্টার 'কীর্তি' অব্যাহত! এবার চোখ রাঙালে চোখ তুলে নেওয়ার হুঙ্কার]
এ প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, 'যাঁরা উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন না, তাঁদের চোখের সিল খুলে দাও। রাস্তাঘাট দেখিয়ে দাও, কৃষকের বাড়িতে নিয়ে যাও, দেখিয়ে দাও তৃণমূলের আমলে কতটা উন্নয়ন হয়েছ।' এরপরই বীরভূমে জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতির নাম করে হুমকি দেন। বলেন, 'আদিবাসী উন্নয়নের টাকা আত্মসাৎ করেছ, তোমাকে আমরা ছাড়ব না।'
উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পুলিশকে বোম মারার নিদান দেওয়ার পর থেকে আপাত শান্ত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এবার পঞ্চায়েত ভোট আসতেই ফের স্বমহিমায় ফিরেছেন তিনি। পুলিশকে কর্তব্য শিখিয়ে তিনি বিকাশ-মান্নানের ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার নিদান দিয়েছেন। তারপর বিরোধীদের চোখ তুলে নিতে বলেছেন। এদিন উন্নয়নে বাধা দিলে তছনছ করে দেওয়ার হুমকি দিলেন। কলকাতা, দিল্লির নেতাদের বার্তা দিলেন। এদিন তাঁর নিশানায় যে বিজেপিই ছিল, তা স্পষ্ট।
[আরও পড়ুন :এলাকায় ঢুকলে মান্নান-বিকাশের ঠ্যাং ভেঙে দেব, হুঙ্কার বীরভূমের কেষ্টার]