নেত্রী আলোরানি বাংলাদেশের নাগরিক! হাইকোর্টে মুখ পুড়ল শাসক তৃণমূলের
নেত্রী আলোরানি বাংলাদেশের নাগরিক! হাইকোর্টে মুখ পুড়ল শাসক তৃণমূলের
কলকাতা হাইকোর্টে প্রবল চাপের মুখে তৃণমূল! বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আদৌতে ভারতের নাগরিকই নন। আলোরানি সরকারের নাগরিকত্ব নিয়ে কার্যত বিস্ফোরক তথ্য। আর তা সামনে আসতেই একেবারে হইহই কাণ্ড। আজ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি বিবেক চৌধুরী'র এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। সেখানেই এহেন বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসে। আর তা সামনে আসতেই রীতিমত চরম বিতর্ক।
আলোরানি সরকারকে প্রার্থী করে তৃণমূল
বিধানসভা নির্বাচনে এবার আলোরানি সরকারকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয় তাঁকে। কিন্তু হেরে যান আলোরানি সরকার। বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে হারতে হয় তাঁকে। আর এরপরেই পুরো বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপির বিরুদ্ধে করা তাঁর ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন। আজ শুক্রবার সেই মামলার শুনানি হলে আলোরানি সরকারের দায়ের করা পিটিশন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে
তবে মামলার শুনানি চলাকালীন বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে আসে। আর তাতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। শুনানিতে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার তাঁর আইনজীবী মারফত এই বিষয়টি সামনে আনেন। বলেন, তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার বাংলাদেশের নাগরিক। এমনকি তাঁর দুটি নাগরিকত্ব রয়েছে বলেও প্রশ্ন তোলা হয়। আইনজীবীর দাবি, তাঁর বাংলাদেশের ভোটার তালিকাতে নাম রয়েছে। আবার ভারতেও রয়েছে। যদিও বিজেপি প্রথম থেকে অভিযোগ জানায়, আলোরানির আদিবাড়ি বাংলাদেশের বরিশালে। তাঁর স্বামী হরেন্দ্রনাথ সরকার বাংলাদেশের একজন চিকিৎসক। তবে মনোনয়নপত্রে আলোদেবী তাঁর স্বামীর কোনও তথ্য দেননি বলে অভিযোগ তোলায়।
পিটিশন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট
দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষে আদালত আলোরানি সরকারের পিটিশন খারিজ করে দেয় ঠিকই। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়টিকে দেখার সুপারিশ করা হয়। তবে এদিন আদালতের প্রশ্ন, ভারতে এখনও দৈত্য নাগরিকত্ব বৈধ নয়। তাহলে কীভাবে ভারতের নির্বাচনে অংশ নিলেন তিনি। এটিও উঠে আসে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে। শুধু তাই নয়, আলোরানি সরকারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নয়া মাত্রা যোগ হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে
তবে এই বিষয়টিকে নিয়ে নয়া মাত্রা যোগ হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে কোনও বক্তব্য সামনে আসেনি। যদিও বিজেপির দাবি, আগামিদিনে অনেক তথ্য সামনে আসবে। সবে খেলা শুরু...!
দুর্নীতির মধ্যেই স্বস্তির বার্তা! পুরনো মেধাতালিকায় সবাইকে চাকরি'র বার্তা এসএসসি'র