জেলবন্দি থাকা 'বাঘ' অনুব্রত মণ্ডলেই ভরসা তৃণমূলের! বড় 'সিদ্ধান্ত' খোদ অভিষেকের
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন! আর সেই নির্বাচনে অনুব্রত মণ্ডলেই আস্থা তৃণমূল কংগ্রেসের। শুধু তাই নয়, তাঁকে সামনে রেখেই বীরভূমের মাটিতে পঞ্চায়েত লড়াই করতে চায় দল। পঞ্চায়েতের আগে কার্যত অনুব্রতহীন বীরভুম নিয়ে চাপে রয়েছে শাসকদল।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন! আর সেই নির্বাচনে অনুব্রত মণ্ডলেই আস্থা তৃণমূল কংগ্রেসের। শুধু তাই নয়, তাঁকে সামনে রেখেই বীরভূমের মাটিতে পঞ্চায়েত লড়াই করতে চায় দল। পঞ্চায়েতের আগে কার্যত অনুব্রতহীন বীরভুম নিয়ে চাপে রয়েছে শাসকদল। আর সেই কারণে শুক্রবারই সে জেলার তৃণমূল নেতৃত্বকে ডেকে নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন তিনি। আর সেই বৈঠক শেষে বীরভূমে তৃণমূলের সভাপতি হিসাবে অনুব্রত মণ্ডলকে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই এই বৈঠক হয়।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই এই বৈঠক হয়। যেখানে তৃণমূলের ১০ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। যারা সে জেলার রাজনীতিতে যথেষ্ট প্রভাব রাখেন। ফলে তাঁদের কাছ থেকেই গোটা জেলার খোঁজ নেন অভিষেক। দীর্ঘ আলোচনার পর সে জেলার দায়িত্ব থেকে 'বাদশা'কে না সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে অনুব্রতহীন জেলাকে সামলাতে চার নেতাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁরা হলেন, রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিং,বীরভুম জেলা পরিষদের সভাপধিপতি তথা সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ও লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিং।
বিধায়কদের টাস্ক বেঁধে দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, অভিষেক এই বৈঠকে বিধায়কদের টাস্ক বেঁধে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, অনুব্রতহীন জেলাতে কোনও নেতা যাতে নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগে সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সাংগঠনিক রদবদলের প্রয়োজন হলেও তা যাতে সাবধানে করা হয় সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা, কেউ যাতে বাদ না যায়। জেলা বা ব্লক কমিটি থেকে কোনও নেতাকে বদলের আগে তাঁকে নতুন জায়গা দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে এই বৈঠকে। যদিও এই বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নু শাসকদলের তরফে।
বীর বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো
তবে অনুব্রত মণ্ডলকে বীর বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি জেল থেকে বের হলে বঈরের সম্মান দেওয়ার কথাও বলেছেন। সম্প্রতি বীরভুমে দাঁড়িয়ে বাঘ বলেও কেষ্টকে ব্যাখ্যা করেছিলেন রাজ্যের এক মন্ত্রী। দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে না থাকলেও তিনি যে ভীষণ ভাবেই রয়েছেন তা কার্যত ফের একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। যদিও শুক্রবার আদালতের মধ্যেই পঞ্চায়েত নিয়ে অনুগামীদের সঙ্গেবইথক সেরে নিয়েছেন অনুব্রত। কীভাবে নির্বাচন হবে সেই সংক্রান্ত ঘুঁটিও সাজিয়ে দিয়েছেন নাকি তিনি। কিন্ত্য যেখানে গরু পাচারে নাম জড়িয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের, সেখানে তাঁর উপরেই তৃণমূলের ভরসা নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিরোধীরা। তাঁদের মতে, অভিষেক বলেছিলেন দুর্নীতি প্রশয় নয়। তাহলে এরপরেও কেন দায়িত্বে? শাসকদলের কথা এবং কাজ নিয়েও প্রশ্ন বিরোধীদের।
হঠাৎ রাতে মিঠুন চক্রবর্তীর সভাস্থলে তৃণমূল বিধায়ক! মমতার পর আরও এক সৌজন্যের নজির বাংলায়