মমতা কড়া স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফেরাতে, পিঠ বাঁচাতেই দল ছাড়ছেন একাংশ নেতা-কর্মী
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই নিয়ম করে ভাঙছে তৃণমূল। প্রায় প্রতিদিনই বিজেপিতে যোগদান পর্ব চলছে। আর সবদিনই প্রায় তৃণমূলে রক্তক্ষরণ হয়ে চলেছে।
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই নিয়ম করে ভাঙছে তৃণমূল। প্রায় প্রতিদিনই বিজেপিতে যোগদান পর্ব চলছে। আর সবদিনই প্রায় তৃণমূলে রক্তক্ষরণ হয়ে চলেছে। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল, কতিপয় ব্যক্তি দল ছেড়েছেন। যাদের কোনো উপায় নেই, তারাই দল ছেড়েছেন নিজেদের বাঁচার তাগিদে।
তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বয়ানে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের পাশে থেকেছে চিরকাল। মানুষের জন্য কাজ করে, তারা মানুষের থেকে কখনও বিচ্যুত হয়নি হবেও না। যারা দল ছাড়ছেন, তারা সংখ্যায় নগণ্য। এক শ্রেণির মিডিয়া এই সংখ্যাটাকে বিশাল করে দেখাচ্ছে।
তৃণমূলের দাবি, এই দলবদলের ফলে তাদের কিছু ক্ষতি হবে না। বাংলার মানুষের প্রতি তাদের ভরসা আছে। বাংলার মানুষ মমতা বন্যো, পাধ্যায়ের আন্দোলনকে কোনওদিন খাটো করে দেখেনি দেখবেও না। যাঁরা দল ছেড়েছেন, তাঁদের একদিন বোধোদয় হবে। তারা কী ভুল করেছে, তা বুঝতে পারবে অচিরেই। সেদিন আর তৃণমূলে ফেরার জায়গাটুকুও থাকবে না তাদের।
Statement from West Bengal Trinamool Congress at 5 pm June 23, 2019 pic.twitter.com/RVA9rUT6uq
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) June 23, 2019
এই বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ, তৃণমূল কংগ্রেসের ৯৯.৯৯ শতাংশ জনপ্রতিনিধি ব্যক্তিগতভাবে সৎ। এতবড় পরিবার দু-একজনের মধ্যে সমস্যা থাকতে পারে। দল চাইছে দুর্নীতি থেকে সবাইকে দূরে রাখতে। সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে দল। কোনও খামিত থাকছে না চেষ্টায়। সেই লক্ষ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাটমানি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন।
মোট কথা স্বচ্ছভাবে দল ও স্বচ্ছ প্রশাসন চালানোই তাদের উদ্দেশ্য। সেই মর্মেই তৃণমূল কংগ্রেস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলার মানুষের জন্য স্বচ্ছ প্রশাসন, স্বচ্ছ পরিষেবা তুলে ধরতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কড়া হতেই নিজেদের পিঠ বাঁচাতে কিছু নেতা-কর্মী দল ছেড়ে অন্যত্র যাচ্ছেন। তাতে তৃণমূল আরও স্বচ্ছ বলেই দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।