প্রত্যাশা মতোই একাধিক ওয়ার্ডে 'খেলা' দেখাচ্ছে শাসকদল! ঘাসফুলের ভিড়ে কাঁটা হতে পারেন বিজেপির সজল
প্রত্যাশা যেমন ছিল তেমন ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস! সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট এরপর খোলা হল ইভিএম। আর তা খোলা হতেই ব্যাপক ভাবে এগিয়ে গেল শাসকদল তৃণমূল। প্রত্যাশা মতোই একাধিক ওয়ার্ডে এ
প্রত্যাশা যেমন ছিল তেমন ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস! সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট এরপর খোলা হল ইভিএম। আর তা খোলা হতেই ব্যাপক ভাবে এগিয়ে গেল শাসকদল তৃণমূল। প্রত্যাশা মতোই একাধিক ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোট কর্মীদের ভোট এবং প্রথম রাউন্ডের গণনা শেষে শাসকদলের একাধিপত্য দেখা যাচ্ছে।
একাধিক বিজেপি জেতা আসনগুলিতেও এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে প্রবল সবুজ ঝড়ের মধ্যেই চারটি ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপি। প্রাথমিক ট্রেন্ডে কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। এগিয়ে রয়েছেন মীনাদেবী পুরোহিতও। ভোটের দিন তাঁকে হেনস্তা করা হয়।
৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। আরও একটি ওয়ার্ডে এগিয়ে কংগ্রেস। তবে বামেরা এখনও পর্যন্ত দুটি ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে।
নির্দল একজন প্রার্থীও একটি ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে প্রথম রাউন্ডের গণনায় ৮৮ টি ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে। আর এই ব্যবধান ক্রমশ বাড়াচ্ছে। তবে বলে রাখা প্রয়োজন এটি ভোট কর্মীদের ভোট এবং প্রথম রাউন্ডের গণনা শেষে প্রাথিমক ট্রেন্ড। চূড়ান্ত কিছু নয়। তবে যে কোনও মুহূর্তে বদলে যেতে পারে এই ট্রেন্ড।
তবে ট্রেন্ড বলছে তৃণমূলের একাধিক প্রভাবশালী নেতা এগিয়ে রয়েছেন। জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক ট্রেন্ডে এগিয়ে রয়েছেন গতবারের বিজয়ী অনিন্দ কিশোর রাউত, বাপ্পাদিত্য, মালা রায়, পরেশ পাল, ফিরহাদ হাকিম, অতিন ঘোষ সহ একাধিক তৃণমূল নেতা।তবে গুরত্বপূর্ণ ভাবে পিছিয়ে পড়েছে সুব্রত মুখোপাধায়ের বোন তনিমা মুখোপাধ্যায়। পিছিয়ে রয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা সচ্চিদানন্দ।
তবে এবার যে গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডগুলির দিকে নজর ছিল তাঁর মধ্যে অন্যতম ছিল প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডটি। এবার সেখানে শোভন-পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কার্যত শোভনকে শিক্ষা দিতেই নাকি রত্নাকে প্রার্থী করেন নেত্রী। প্রাথমিক ট্রেন্ডে জানা যাচ্ছে রত্না চট্টোপাধ্যায় বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। প্রায় ২ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। তবে ব্যবধান আরও বাড়বে বলে আশাবাদী রত্না চট্টোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য তৃণমূলের দাবি এই ভোট উন্নয়নের নিরিখে হয়েছে। সন্ত্রাস বলে যে অভিযোগ বিরোধীদের তরফে তলা হচ্ছে তা বিভ্রান্তকর বলেও দাবি শাসকদলের। কারন ঘটনাগুলি তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার জন্যেই করা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের এক নেতার। তাঁর মতে, ১৪০টি আসন তাঁরা পাচ্ছেন নিশ্চিত।
যদিও বিরোধীদের দাবি, ১৪০ টি আসন নয়, ১৪৪টি আসন তৃণমূলের পাওয়া উচিত। এর কারন অবাধ সন্ত্রাস। মানুষকে ভোট দিতে না দেওয়া। পেশিশক্তির নিরিখে এই ভোট হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের।
অন্যদিকে এহেন প্রাথিমক ট্রেন্ড আসতে শুরু করতেই সব জায়গাতে বিজয় উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিজয় উৎসবে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। আর এরফলে সেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই বিপুল ভোটে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ের জন্যে মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্টারও পড়ে গিয়েছে শহরের বিভিন্ন অংশে।