বিধায়কের বিরুদ্ধে বহিরাগত স্লোগান, অন্তর্দ্বন্দ্বে প্রথম দিনেই জেরবার বাংলার গর্ব মমতা
পুরসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবেই সূচনা করেছিলেন নয়া কর্মসূচির। সেই ‘বাংলার গর্ব মমতা’র প্রচারে বেরিয়েই তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মুখে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস।
পুরসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবেই সূচনা করেছিলেন নয়া কর্মসূচির। সেই 'বাংলার গর্ব মমতা'র প্রচারে বেরিয়েই তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মুখে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। এই কর্মসূচিতে ক্যানিংয়ের জনপ্রতিনিধিরা ডাক না পাওয়ায় বিধায়কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হলেন। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল ক্যানিংয়ের রাস্তা।
তৃণমূলের পাখির চোখ একুশের বিধানসভা নির্বাচন ও আসন্ন পুরসভা নির্বাচন। তাই জনসংযোগের লক্ষ্যে তড়িঘড়ি 'বাংলার গর্ব মমতা' কর্মসূচির সূচনা করে তৃণমূল। সেই সূচি মেনে শনিবার থেকেই শুরু হয় কাজ। প্রথম দিনেই বিপত্তি বাধে। ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলের ক্যানিংয়ের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের না আমন্ত্রণ জানানোয় ক্ষোভ দানা বাঁধে।
শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। একইসঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অমান্য করে এই কর্মসূচি চালানোর প্রক্রিয়া চলছিল বলে অভিযোগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার নির্দেশ দিয়েছেন কোনও গোষ্ঠী করা যাবে না। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রশ্ন ওঠে, কোথায় সেই মানসিকতা, খোদ বিধায়কেরই সেই ইচ্ছা নেই।
অভিযোগ, এমন মাত্রা পায় যে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে রাস্তায়। অবরোধ শুরু করেন জনপ্রতিনিধিরা। এমনকী এই বিক্ষোভ অবস্থান থেকে বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলকে বহিরাগত বলে আওয়াজ তোলেন বিক্ষুব্ধ জনপ্রতিনিধিরা। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।