তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে চোরাস্রোত বইছে জঙ্গলমহলে! পিকের ড্যামেজ-কন্ট্রোল বুমেরাং পদ-বিতর্কে
তৃণমূলের অন্দরে চোরাস্রোত বইছে জঙ্গলমহলে! পদ-বিতর্কে বুমেরাং পিকের ড্যামেজ-কন্ট্রোল
পঞ্চায়েত থেকে স্খলনের শুরু, জঙ্গলমহলে লোকসভা ভোটে জবরদস্ত ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখানকার সবকটি আসনই হাতছাড়া হয়েছে। এই অবস্থায় ২০২১-এর আগে জঙ্গলমহলে ফের পুরনো মর্যাদা ফিরে পেতে চাইছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা করতে গিয়েই স্থানীয় নেতাদের রোষানলে পড়তে হয়েছে নেতৃত্বকে।
মহাবিতর্কে তৃণমূল, দলের অভ্যন্তরে চোরাস্রোত
সংগঠনকে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে গিয়ে মহাবিতর্কে পড়তে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এমনকী ভোট-কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সামনেই দানা বেঁধেছে অশান্তি। দলের অভ্যন্তরে চোরাস্রোত বইতে শুরু করেছে। ভিতরে ভিতরে বাড়ছে ক্ষোভও। কেন নেতাদের নাম ও পদ বদলে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেলা নেতারা।
পৈতৃক সম্পত্তি নয় তৃণমূল, সোশ্যাল সাইটে ক্ষোভ
তৃণমূলের সাংগঠনিক পদের নয়া তালিকা ঘিরে দলের অভ্যন্তরে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। সোশাল সাইটেও সমালোচিত হচ্ছে নেতৃত্ব। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় ফেসবুকে লিখেছেন, কেউ কেউ দলটাকে পৈতৃক সম্পত্তি ভাবছে। তারা আসলে দলটাকে বিজেপির কাছে বিক্রি করে দিতে চাইছে। লোকসভায় হারের পরও তাদের লজ্জা হল না। কোন্দল চরমে উঠল পুরুলিয়ায়।
ভুলভ্রান্তি সব ঠিক হয়ে যাবে, আশ্বাস সভাপতির
তবে আশ্বস্ত করেছেন জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো। কিছু ভুলভ্রান্তি হয়েছে, সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তিনি বললেও দলের অন্দরে আচমকা জমাট বাঁধা অন্ধকার সরছে না। তাল কেটে গিয়েছে জেলা তৃণমূলের। পিকের বৈঠকের আগে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
ভুল-ভ্রান্তি দূর করে নতুন তালিকা শীঘ্রই
অভিযোগ, এই জেলায় দায়িত্বে থাকা নেতারা নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে কাজ করেছে। কেউ দলের কথা ভাবেনি। তৃণমূলের এহেন পরিস্থিতিতে অস্বস্তিতে পড়েছেন প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর টিমের সদস্যরা। জেলায় ‘দিদিকে বলো'র দায়িত্বপ্রাপ্ত গুরুপদ টুডু জানিয়েছেন, কারও নাম বাদ যাবে না। ভুল-ভ্রান্তি দূর করে নতুন তালিকা আসছে।
অজান্তেই কেন বদলে যাচ্ছে পদ, প্রশ্ন
পুরুলিয়া জেলা নেতৃ্ত্বের সঙ্গে বৈঠক ছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভোট-কৌশলী প্রশান্ত কিশোরও। আর দলের সাংগঠনিক বৈঠকে স্থানীয় নেতাদের যে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছিল, সেখানে অনেকের পদ বদলে গিয়েছে। সাংগঠনিক পেদর পরিবর্তে উল্লেখ করা হয়েছিল সরকারি পদগুলি। তা নিয়েই বিতর্ক চরমে উঠেছে।
নামের পাশে নেই সাংগঠনিক পদ, ক্ষোভের কারণ
পুরুলিয়া জেলায় তৃণমূলের সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো। অথচ তাঁর নামের পাশে নেই সেই পদের উল্লেখ। সেখানে উল্লেখ রয়েছে মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। আবার সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের পাশে উল্লেখ রয়েছে সভাধিপতি। সেখানে তাঁকে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদাধিকারী বলে উল্লেখ করা হয়নি।
আরও যেসব নাম-পদ নিয়ে বিতর্ক
নতুন করে জেলা কমিটি ঘোষণা হওয়ার আগে বাঘমুন্ডি ব্লক যুব সভাপতি শশীপ্রসাদ মাহাতের নাম নেই তালিকায়। তাঁকে যুবর জেলা সম্পাদক হিসেবে দেখানো হয়েছে। জেলা যুব সম্পাদক পগে রয়েছে সভাধিপতি সম্রাট বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। যুব সহ সভাধিপতি সৌমেন বেলথরিয়ার নাম নেই। ব্লক তৃণমূল সভাপতি হিসেবে দেখানো হয়নি মন্ত্রী সন্ধারানি টুডুকে।
'শিবসেনা চুড়ি পরে আছে', এআইএমআইএম নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে বিজেপি! হুঁশিয়ারি ফড়নবিশের