হিতে বিপরীত! স্লোগান-বিতর্কে মুকুল-দিলীপদের ফোন নম্বর ভাইরাল করে বুমেরাং হল তৃণমূলের
রাজ্যে এখন একটাই বিতর্ক- জয় শ্রীরাম স্লোগান। এই স্লোগান দিলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাগ! আর সেই রাগকেই হাতিয়ার করে বিজেপি অগ্রগমনের পথ খুঁজছে।
রাজ্যে এখন একটাই বিতর্ক- জয় শ্রীরাম স্লোগান। এই স্লোগান দিলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেগে যাচ্ছেন! আর সেই রাগকেই হাতিয়ার করে বিজেপি এগোনোর পথ খুঁজছে। আর এই জয় শ্রীরাম বিতর্কের মধ্যেই তৃণমূলের বিড়়ম্বনা বাড়ল সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি নেতাদের মোবাইল নম্বর এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ভাইরাল করা নিয়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট যাদের নম্বর
তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, বিজেপি সভাপতি তথা সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও মুকুল রায়ের নাম সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেওয়া হয়। তা ভাইরালও হয়ে যায় মুহূর্তে। পাঁচ বিজেপি নেতার ফোন নম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে অনুরোধ করা হয় ওইসব নম্বরগুলিতে 'জয় হিন্দ আর জয় বাংলা' লিখে পাঠাতে।
ফোন নম্বর সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল
তৃণমূলের পক্ষ থেকে ফোন নম্বর সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিশেষ ধন্যবাদ দেন তৃণমূলকে। তিনি বলেন, এতদিন আমার ফোন নম্বর মুষ্টিমেয় কয়েকজনের কাছে ছিল। তৃণমূল তা গ্রামের কোণে কোণে ছড়িয়ে দিল। আমরা এখন আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছতে পারব।
ফোন করে বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন
আমরা তৃণমূলের সন্ত্রাস, দুর্নীতি নিয়ে আরও বেশি মানুষকে বোঝাতে পারব। তারপর অনেকেই তো এখন ফোন করে বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছে। তারা এখন সরাসরি ফোন করে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছে। বহু তৃণমূল নেতা-নেত্রী ইতিমধ্যে আমাকে ফোন করেছেন। সেই কারণেই তৃণমূলের তরফ থেকে সবাইকে ফোন নম্বর বিতরণ করার জন্য দিলীপ ঘোষ ধন্যবাদজ্ঞাপন করেছেন।
জয় শ্রীরাম বনাম জয় হিন্দ
বিজেপির জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষিপ্ত হওয়ার পর থেকেই বিজেপি নতুন ইস্যু পেয়ে গিয়েছে। সেইমতোই বিজেপির তরফ থেকে ২০ লক্ষ জয় শ্রী রাম লেখা পোস্ট কার্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিকানার পাঠানোর অভিযান শুরু হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরপর বিজেপিকে পাল্টা দিতে গিয়ে 'জয় হিন্দ আর জয় বাংলা' স্লোগান তোলে। তিনিও ২০ লক্ষ পোস্টকার্ড পাঠানোর কর্মসূচি নেন 'জয় হিন্দ আর জয় বাংলা'।
কোনও স্লোগানেই আপত্তি নেই
একইসঙ্গে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমেও দিলীপ-মুকুলদের ফোনে মমতা নয়া স্লোগান পাঠানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। আর তা করতে গিয়েই বুমেরাং হয়ে যায়। দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের কোনও স্লোগানেই আপত্তি নেই। কিন্ত ওনার আছে জয় শ্রীরাম স্লোগানে। আমরা জয় হিন্দ স্লোগান গর্বের সঙ্গেই দিতে পারি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি পারবেন জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে। আমরা চাই ওনারাও আমাদের মতোই ওই স্লোগানকে গ্রহণ করে নিন।