প্রার্থী বাছতে গাঁ উজাড়! এক কেন্দ্রে ছয় মনোনয়ন, গোঁজের ঠেলায় ঘুম ছুটেছে তৃণমূলের
প্রার্থী বাছতে গাঁ উজাড় হওয়ার জোগাড়। এক কেন্দ্রেই ছজন প্রার্থী দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের। কে হবেন অফিসিয়াল প্রার্থী, তা নিয়ে জোর তরজা শুরু হয়েছে।
প্রার্থী বাছতে গাঁ উজাড় হওয়ার জোগাড়। এক কেন্দ্রেই ছজন প্রার্থী দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের। কে হবেন অফিসিয়াল প্রার্থী, তা নিয়ে জোর তরজা শুরু হয়েছে। শীর্ষ নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করলেও কোনও ফায়দা হচ্ছে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে মহা বিপাকে পড়েছে তৃণমূল। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা পুরুলিয়ায়। যার জেরে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের ঘুম ছুটেছে।
[আরও পড়ুন: ভোটের পরেই ভোট, উপনির্বাচন দিন ঘোষণা হতেই তৃণমূল জানিয়ে দিল প্রার্থীর নাম]
বর্তমানে এমন পরিস্থিতি যে, পুরুলিয়ার এই একটি জেলা পরিষদ আসনেই যেন ভোট হচ্ছে। সবার নজর জেলার এই একটি কেন্দ্রের দিকে। একটা কেন্দ্রে তৃণমূলের ছ-জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। আর প্রত্যেকেই হেভিওয়েট। কেউই কম যান না। আর কেউ ছাড়তে চান না অধিকার। তা নিয়েই জোর কোন্দল।
কারা দাঁড়িয়েছেন ওই এক আসনে। জানলে চমকে যাবেন। জেলা সম্পাদক থেকে শুরু করে শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষ ও দুজন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। সবাই চাইছেন ওই এক আসনে প্রার্থী হতে। আর এই লড়াইয়ে মুশকিলে পড়েছে তৃণমূল।
হাতে আর মাত্র একটা দিন সময় প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের। এই অবস্থায় কে হবেন মুশকিল আসান? জেলা তৃণমূল এখন ঘোর চিন্তায়, যাঁকেই অফিসিয়াল প্রার্থী করা হোক বাকি পাঁচজনের হবে রাগ। এক-আধজন হলে না হয় ম্যানেজ করা যায়।
পাঁচজনকে বোঝানো যাবে কী করে, তা নিয়েই চিন্তায় ঘুম ছুটেছে তৃণমূলের। এই অবস্থায় শনিবারই যা হবার হয়ে যাবে। কোন পাঁচজন দলের জন্য ব্যক্তিস্বার্থ ত্যাগ করবেন, সেই লড়াইও বেশ উপভোগ্য হতে চলেছে পুরুলিয়ায়।
[আরও পড়ুন:পঞ্চায়েতে ভোট-সুরক্ষায় প্ল্যান-বি প্রয়োগ, মমতার মাস্টারস্ট্রোকে মাত বিরোধীরা ]