শুভেন্দু মমতা-পরবর্তী প্রজন্মের সেরা নেতা! একুশের নির্বাচনের আগে দু-ভাগ তৃণমূল
শুভেন্দু মমতা-পরবর্তী প্রজন্মের সেরা নেতা! একুশের আগে ক্ষতির প্রশ্নে দু-ভাগ তৃণমূল
শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়লে কি তৃণমূলে্র ক্ষতি হবে! শুভেন্দু দল ছাড়ার আগেই দু-ভাগ তৃণমূল কংগ্রেস। কেউ মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারী গেলে তৃণমূলের প্রভূত ক্ষতি হবে, কোনওভাবেই একুশের নির্বাচনের আগে সেই ক্ষতিপূরণ করা সম্ভব হবে না। আবার কেউ মনে করছেন শুভেন্দু গেলে কোনও ক্ষতিই হবে না। হুগলি জেলা তৃণমূল আড়াআড়ি দু-ভাগ হয়ে গিয়েছে।
মমতা-পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে সবথেকে বড় নেতা শুভেন্দু
তৃণমূলের বিধায়ক ও সাংসদ উভয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে। তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল শনিবার স্পষ্টভাষাতেই বলেন, আমি মনে করি মমতা-পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে সবথেকে বড় নেতা হলেন শুভেন্দু অধিকারী।। তিনি যদি শেষপর্যন্ত দল ছাড়েন, সে ক্ষতি তৃণমূলের পূরণ কর সম্ভব হবে না।
শুভেন্দু চলে গেলে তৃণমূলে আঘাত নেমে আসবেই
প্রবীর ঘোষালের কথায়, একুশের আগে আমাদের সঙ্ঘবদ্ধ হতে হবে। শুভেন্দুকে অবশ্যই দলে রাখতে হবে। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, শুভেন্দু জনপ্রিয় নেতা আবার দক্ষ সংগঠক। সে দলে না থাকা মানে একটা ফারাক তৈরি হবেই। শুভেন্দু চলে গেলে তৃণমূলে আঘাত নেমে আসবেই। তা নিয়ে কখনও দ্বিমত থাকতে পারে না।
২৯৪ সিটে মমতাই প্রা্র্থী, তার মধ্যে শুভেন্দুর নন্দীগ্রামও পড়ে
প্রবীর ঘোষালের উল্টো কথা শোনা গিয়েছে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়। তিনি বলেন, শুভেন্দু ওঁর ইচ্ছামতো মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। সে বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু বাংলায় যে যেখানে জিতেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেখিয়ে জিতেছে। ২৯৪ সিটে মমতাই প্রা্র্থী, সেই ২৯৪টি সিটের মধ্যে শুভেন্দুর নন্দীগ্রামের আসনটিও পড়ে।
পরস্পরবিরোধী বক্তব্য উঠে আসছে তৃণমূলের মধ্যে
শুভেন্দু অধিকারীর থাকা বা না থাকা নিয়ে এখন তৃণমূলে দুটি মত হয়ে গিয়েছে। পরস্পরবিরোধী বক্তব্য উঠে আসছে নেতা-নেত্রীদের মধ্যে। তৃণমূল দু-ভাগ হয়ে গিয়েছে। শুভেন্দুর মন্ত্রিত্বে ইস্তফার পর বড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে, তিনি তৃণমূলে থাকবেন কি না। এরই মধ্যে তিনি মহিষাদলে সভা করছেন। সেখানে কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
শুভেন্দু থাকছেন না ধরেই কৌশল তৈরি তৃণমূলের! একুশের যুদ্ধে সেনাপতি হবেন কে