নিজের ও মন্ত্রীর ওয়ার্ডে পিছিয়ে তৃণমূল! সভাপতি পদে 'অনিচ্ছা' অনুব্রত-র
বীরভূমের দুই কেন্দ্রে জয়ী হলেও, বোলপুর শহরেই ভিত হারাল তৃণমূল। প্রাপ্ত ফলের নিরিখে দেখা যাচ্ছে বোলপুর পুরসভার ১৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬ টিতেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
বীরভূমের দুই কেন্দ্রে জয়ী হলেও, বোলপুর শহরেই ভিত হারাল তৃণমূল। প্রাপ্ত ফলের নিরিখে দেখা যাচ্ছে বোলপুর পুরসভার ১৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬ টিতেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ৩ টি ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও ব্যবধান কম। সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, অনুব্রত মণ্ডল যে ওয়ার্ডের বাসিন্দা, সেই ওয়ার্ড অর্থাৎ ১৫ নম্বর ওয়ার্ডেই পরাজিত হয়েছে তৃণমূল।
ভোটের আগে অনুব্রত দাবি
ভোট ঘোষণার অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন দাওয়াই দেওয়ার দাবি করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। শেষ দাওয়াই ছিল নকুলদানা বিলি। অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেছিলেন বোলপুর এবং বীরভূম দুই আসনেই বড় ব্যবধানেই জয় পাবে তৃণমূল। ব্যবধানও আগের থেকে বাড়বে। না হলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। এমন মন্তব্যও করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। জয় পেলেও, নিজের দেওয়া কথা কার্যত রাখতে পারেননি তিনি।
বোলপুর শহরে পিছিয়ে তৃণমূল
অনুব্রত মণ্ডলের নিজের শহর বোলপুরেই তৃণমূলের পরাজয়। অনুব্রত মণ্ডলের নিজের ওয়ার্ডেই তৃণমূল শুধু হারেনি, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার ওয়ার্ডেও পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে অনুব্রত বলেছেন, সভাপতির পদে থাকব কিনা, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছি।
অনুব্রত-র সাফাই
বিজেপির ভোট বাড়ার পিছনে অনুব্রত মণ্ডলের সাফাই, সিপিএম-এর পুরো ভোট গিয়েছে বিজেপির দিকে। যেমনটি বলছেন রাজ্যের অন্য তৃণমূল নেতারা।